সামান্য বৃষ্টিতে আখাউড়া সদরে বন্যা!
উপজেলা রিপোর্টার,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে যাচ্ছে। কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আবার কোথাও পানি নামতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগে। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌরবাসী। বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের খাল, নালা ভরাট ও সংকীর্ণ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন পৌরসভার নাগরিকরা।
গতকয়েক দিন বৃষ্টির পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের সড়ক বাজার আদর আলী মার্কেটের সামনে থেকে সড়কবাজার দু’তলা মসজিদ পর্যন্ত, পৌরসভার অফিসের সামনে থেকে নাছরীন নবী স্কুল পর্যন্ত, মসজিদ পাড়া, কাস্টমস রোড, কলেজ পাড়া শ্মশান সংলগ্ন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের সড়ক, রেলওয়ে স্কুল সংলগ্ন রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে এসব রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের সদস্য সচিব রাকিব উদ্দিন বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ অপরিকল্পিতভাবে বাসাবাড়ি নির্মাণ, পানি প্রবাহের ছোট-বড় নালায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, বিভিন্ন স্থানে খাল সরু করে ফেলা ও সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার কারণে কম সময়ের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
কলেজ পাড়ার বাসিন্দা রুবেল আহমেদ বলেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাসহ যে ড্রেন আছে সেগুলোর ঠিকমত পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অভাব এবং কলেজের সামনে নির্মানাধীন ভবনের পাইয়েলিংয়ের পলিমাটিতে ড্রেন বন্ধ করার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে তিনি মনে করেন।
আখাউড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়সাল খান জলাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বড় কারণ হচ্ছে পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল কালন্দী খালটিতে ময়লা আবর্জনায় ভরাটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি সহজে নামতে পারে না। পৌরসভার ড্রেনগুলি আমরা কিছু দিন পর পর পরিস্কার করলেও ড্রেন থেকে খালে পানি ঠিকমত নামতে না পারার কারনে দ্রত ড্রেনগুলি ভরাট হয়ে পানি রাস্তায় জমে যায়। কালন্দী খালটি খনন করা হলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।