‘স্যারেরা চকলেড আর মুখ বান্ধনী দিছে’
অফিস রিপোর্টার।।
রাবেয়া আক্তার ও তার প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া বোন কুলসুম। কাঁধে ব্যাগ। লম্বা ব্যাগ প্রায় কুলসুমের সমান। হাত ধরাধরি কওে তারা স্কুলে এসেছে। স্কুলে এসে প্রথমে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে। শিক্ষকদের দেয়া মাস্ক পরে রাবেয়া ও তার বোন কুলসুম। দুই বোনকে দেয়া হয় চকলেট।
আনন্দ প্রকাশ করে রাবেয়া বলে, আজকে আমার স্যার দুইডা চকলেড দিছে। একটা কইরা মুখ বান্ধনী (মাস্ক) দিছে। এদিকে শিক্ষকদের দেয়া মাস্ক পরে আনন্দিত সালাম। একটু পর পর মাস্কের উপর আলতো করে হাত বুলিয়ে দেয়। দেখে মাস্ক ঠিক আছে কিনা। কেউ অনেক দিন পড়ে থাকা দোলনায় দোল খাচ্ছে। স্কুল জুড়ে রঙিন বেলুন লাগানো হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখা যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। আমাদের স্কুলে ২৯৪ জন শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসেছে। তাদের আগমন যেন আনন্দময় হয় সে জন্য স্কুলটি রঙিন বেলুন দিয়ে সাজিয়েছি। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মাঝে চকলেট ও মাস্ক বিতরণ করেছি।
কুমিল্লা সদরের কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭৪জন শিক্ষার্থী। প্রথম দিন তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস। উপস্থিতির হার ৭৫ ভাগ।
প্রধান শিক্ষক মোসা.হাসিনা আক্তার বলেন, প্রথম দিন তাই উপস্থিতি একটু কম। কয়েক দিন গেলে ১০০ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিতি হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, জেলায় ২১০৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটা স্কুলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেন ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়।
উল্লেখ্য- কুমিল্লায় জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ২,১০৬টি,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মোট ৬০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৭৯, মাদ্রাসা ৩৭৯টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ৯৯টি,স্কুল এন্ড কলেজ ৩৬ টি।