হই অনুতপ্ত, হইনা নিরাশ — মতিন সৈকত
সামান্য অসুস্থতা সইতে পারিনা
চঞ্চল অস্হীর, পরিবারে নাই সস্তি
স্বজনরা নির্বাক।
শরীর নাড়াবার ক্ষমতা নাই
তুচ্ছ উঁকুন ছাড়পোকা
মশা-মাছির অত্যাচার সয়না।
কোথায় গেলো দূর্দান্ত যৌবন শক্তি
জীবন করেছি পাপে পূর্ণ
হই অনুতপ্ত, হইনা নিরাশ।
কাঁটা-ছেড়া বাধতে হলেই জান শেষ
শরীরে লাখো পশম, মাত্র একটিতেই
টান দিলে যেন জীবন বেরিয়ে আসে।
আপাদ মস্তক বিস্তৃত সমস্ত শরীর জুড়ে
অস্তিত্ত এমন প্রাণটা বেরিয়ে যাবে
ভাবতেই চোখ বন্ধ হয়ে আসে।
অন্তর-শরীর কেঁপে উঠে
ভাবনার অতলে তলিয়ে যাই
পৃথিবী থেকে চির বিদায়।
যেখানে জন্ম বেড়ে ওঠা
খাওয়া নাওয়া ঘুম আরাম আয়েশ ঘর-বাড়ী-সংসার।
স্ত্রী সন্তান আত্মীয় পরিজন
ফসলের মাঠ সহায় সঞ্চয় সম্পদ
কামাই-রোজগার স্বপ্ন-সাধ।
সব ফেলে মা, বাবা স্বজন
স্হাবর-অস্হাবর মায়ামমতা
এমনকি সর্বশেষ জীবনও।
মহাকষ্টের মৃত্যুর পরেও হিসাব-নিকাস
পাপপুণ্যের বিচার অপরাধীর সাজা
ভয়াবহ জাহান্নাম।
পাপে তাপে জীবন করেছি বরবাদ
পূণ্যের খাতা শূন্য
এখন কি উপায়?
আল্লাহ ছাড়া দুনিয়া-আখেরাতে
কোনো ইলাহ নেই।
কোনো সাহায্যকারী নাই।
আপনি-ই খালিক,মালিক, সাত্তার,
রহমান, রাহীম, গাফফার।
একমাত্র আপনার কাছেই সাহায্য চাই।
আপনার ক্রোধ থেকে বাঁচতে চাই
জীবনে মরণে যেনো ঈমানী কালেমা পাই
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।