‘১৫ বছরের দু:শাসনের অবসান দু’-এক বছরে অসম্ভব’

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
inside post
একাত্তর ছিলো বলেই স্বাধীন দেশ পেয়েছি, আর ২৪-এ পেয়েছি স্বাধীনতা। দীর্ঘ ১৫ বছরের দু:শাসন এক-দুই বছরে শেষ করা সম্ভব নয়, রীতিমতো অসম্ভব। আগামী দিনগুলো হবে চ্যালেঞ্জিং। সামনে নির্বাচন- শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো মিলেই সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে হবে। সকল প্রকার সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠেই আমাদেরকে দেশ গড়তে হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ এসব কথা বলেছেন।
নারী ও শিশুদের জন্য বাসযোগ্য নবীনগর গড়তে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘পারিবারিক নারী সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাইবার বুলিং ঠেকাতে সাইবার ইউনিট চালু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতার প্রশ্ন নয়—এটি এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তরুণ সমাজকে আইটি সেক্টরে দক্ষ হতে হবে।’ মব জাস্টিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি তৈরি হয়েছে মূলত মোবাইল প্রযুক্তির কারণে। সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, নাসিরাবাদ বালু মহালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মেঘনা নদীর ভাঙনে চরলাপাং,মানিকনগর, সাহেবনগরসহ আশপাশের গ্রামে শতাধিক খননযন্ত্রের গর্জনে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব বিভাগ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, এনডিসি আবু মোছা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী, সহকারি পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুর, নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর রহমান, নবীনগর প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শারমিন এস. মুরশিদ এই প্রথম তাঁর পৈতৃক ভিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আসেন। তাঁর দাদা আলী আহাম্মদ খান ছিলেন ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নবীনগর-বাঞ্ছারামপুর আসন থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। মা নূরজাহান মুরশিদ ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং আদর্শিক কারণে ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পিতা ড. খান সারোয়ার মুরশিদ ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
আরো পড়ুন