আম বিক্রির টাকা নিয়ে হত্যা, ৩জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বুড়িচংয়ের আম বিক্রির টাকা নিয়ে মো. শের আলী নামের একজনকে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। এসময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেয় আদালত। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি মো. রফিকুল ইসলাম।
দ-প্রাপ্তরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের মো. মালেক হাবিলদারের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪০)। পলাতক দ-প্রাপ্তরা হলেন, আবুল কাশেমের ছেলে মো. মামুন (১৮) এবং জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মনিপুর দক্ষিণ পাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০)।
নিহত শের আলী কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মনিপুর শেখ বাড়ির মৃত হাছন আলীর ছেলে।
অতিরিক্ত পিপি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসের আওতাধীন একটি আম বাগান মো. শের আলী ও মো. সুজন মিয়া লিজ নিয়ে ব্যবসা করতো। আম বিক্রির পাঁচ লক্ষ টাকা ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে তাদের বিরোধ হয়। বিরোধের জেরে তারা ২০১৫ সালের ২৩ জুন ঘোষনগর গ্রামের ভাড়া বাসায় ঢুকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে শের আলীকে। গামছা দিয়ে মুখ এবং কারেন্টের তার দিয়ে দুই হাত-পা বেঁধে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মো. শের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের ভাই মো. বাবুল মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে মো. সুজন মিয়া (৪০) ও মো. জাকির হোসেন (৩০) এবং বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের কন্ট্রাক্টর মো. হামযাকে (৫০) আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামি মো. সুজন মিয়া, মো. জাকির হোসেন ও মো. মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চার্জগঠন শেষে ও রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বুধবার মো. সুজন মিয়া, মো. জাকির হোসেন ও মো. মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদয়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। আদালতের এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।