ওমিক্রন মোকাবেলায় আখাউড়া স্থলবন্দরে হেলথ ডেস্ক
![](https://amodbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ওমিক্রন। কভিডের আগ্রাসী ভ্যারিয়েন্ট। ক্রমেই ধেয়ে আসছে। ওমিক্রনের ভয়াল সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে কাজ করছে হেলথ টিম। বন্দর দিয়ে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে সামাজিক সংক্রমণ রোধে নেয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। কভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৬ সদস্যের এই টিমটি বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কাজ করছে। বিদেশ থেকে আগতদের কোন উপসর্গ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। বিগত ২০১০ সালে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হয়। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানীর পাশাপাশি প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসা যাওয়া করে। কভিডের কারণে যাত্রী পারাপার কমে গেলেও এখনো গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ’ যাত্রী পারাপার করছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় কভিডের ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন’র প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। স্থলবন্দর দিয়ে আসা যাওয়া যাত্রীদের মাধ্যমে করোনার এই নতুন ধরণের সামাজিক সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পরতে না পারে সেজন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সে লক্ষ্যে জেলা কভিড প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ সদস্যের একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। স্থল বন্দরে কাজ করা এই হেলথ টিম হেলথ স্ক্যানিং এর মাধ্যমে যাতে কোন সংক্রমিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে তার পাশাপাশি বন্দর দিয়ে আগতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করছে। সেই সাথে বিদেশে থেকে আসা ব্যক্তিদের যথাযথ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির দাবী সাধারণ মানুষের।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ভ্রমন ভিসা ছাড়া অন্য সকল ভিসা চালু রয়েছে। তবে টিকা নেয়া থাকলেও পারাপারের ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর রিপোর্ট, কিউআর কোড যুক্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে, কভিডের নতুন এই ধরণ প্রতিরোধে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সচেতন হবে সাধারণ মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুর রহমান বলেন, ‘ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ‘ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীরা যাতে সামাজিক সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য হেলথ ডেস্ক কাজ করছে। স্থল বন্দরে কাজ করা এই হেলথ টিম হেলথ স্ক্যানিং এর মাধ্যমে যাতে কোন সংক্রমিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে তার পাশাপাশি বন্দর দিয়ে আগতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে আগতদের কোন উপসর্গ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আওতায় আনা হচ্ছে