কুমিল্লায় সংবাদপত্র বিক্রির হিড়িক,বিক্রেতার মুখে খুশির ঝিলিক

 

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীতে সংবাদপত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। ১০হাজারের বেশি পত্রিকা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। ভোরে পত্রিকার স্টল ও এজেন্টের নিকট সংবাদপত্রের ভ্রাম্যমাণ ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। বিক্রি বাড়ায় খুশি এজেন্ট বিলিকারকরা।
এজেন্ট ও বিলিকারকারদের সূত্র জানায়, এজেন্ট সাইফুর রহমান মাসুম,আবদুল বাতেন বাবু,আলমগীর হোসেন,আতিকুর রহমান,আবদুর রশিদ ও কালাম মোল্লার মাধ্যমে নগরীতে ১০ হাজারের বেশি জাতীয় সংবাদপত্র প্রবেশ করে। এছাড়া নগরীতে ৪টি দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তাদের ৪হাজারের মতো পত্রিকা বাজারে আসে। অন্য সময়ে অবিক্রিত থাকলেও এখন তা ২-৩ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ভোরে আলেখারচর বিশ^রোড,পদুয়ার বাজার বিশ^রোড ও নগরীর কান্দিরপাড়ে পত্রিকার গাড়ি আসে। দেশের খবর জানতে তখন থেকে পাঠকদের পত্রিকা নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। কান্দিরপাড় মোড়ের খুচরা বিক্রেতা কান্তি,খাদি জ্যো¯œা স্টোর,মনোহরপুরের সংবাদ বিচিত্রা, মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের পাশের এস আর ভুইয়া,ফৌজদারী এলাকার দি নিউজ হোম,রাজগঞ্জের মোহনের দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কেউ তার পছন্দের পত্রিকা না পেয়ে অপ্রচলিত পত্রিকা কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান।
নগরী ২য় মুরাদপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, বিস্তারিত জানতে পত্রিকায় নির্ভর করতে হয়। বাসায় নিয়মিত পত্রিকা রাখি। খবর জানতে ভোর থেকে তৃষ্ণার্থ হয়ে থাকি। কিন্তু বেশি দাম পেয়ে ইদানিং বিলিকারীরা পথেই পত্রিকা বিক্রি করে দেন।
রেইসকোর্স এলাকার মোবারক হোসেন বলেন,নেট নেই। অনলাইন পড়া যায় না। টিভিতে পূর্ণাঙ্গ খবর আসে না। তাই কয়েকটি পত্রিকা ক্রয় করি। যাতে সব খবর জানতে পারি।
বিলিকারী পলাশ জানান,বাসায় পত্রিকা বিলি করি। পথে অন্য গ্রাহকের পত্রিকা বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান ভ্রাম্যমাণ পাঠকরা। পত্রিকা বিক্রি না করলে তারা মন খারাপ করেন।
দি নিউজ হোমের পরিচালক আবদুল বাতেন বাবু বলেন, ভ্রাম্যমাণ পাঠকরা ভোর থেকে স্টলে এসে অপেক্ষা করেন। দুই ঘন্টায় স্টল থেকে সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যায়।
এজেন্ট সাইফুর রহমান মাসুম, আলমগীর হোসেন ও আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর পত্রিকার কাটতি দেখতে পাচ্ছি। কোন পত্রিকা অবিক্রিত থাকছে না।