খালেদা জিয়া দেশে বসে অশ্ব ডিম্ব পাড়ে: আইনমন্ত্রী
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দুইটি দুর্নীতির দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। একটিতে ১০ বছর, আরেকটিতে ৭ বছর। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে দু’টি শর্তে ওনাকে মুক্তি দিয়েছেন, এখন তিনি বিলাস বহুল বাসায় চলে এসেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) কোডিভ-১৯ আক্রান্ত হয়ে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি হলেন, সেদিন থেকেই বিএনপি নেতারা বলতে শুরু করেন ওনাকে বিদেশে যেতে দিন, বিদেশে যেতে দিন। তখন প্লেন চলে না, ট্রেন চলে না, জাহাজও চলে না। কিন্তু ওনাকে বিদেশে যেতে দিবে হবে। উনি দেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু এখনও বলছে বিদেশে যেতে দিতে হবে। বাংলাদেশে চিকিৎসা নিয়ে যদি মানুষ সুস্থ হয়, তাহলে বিদেশ যাওয়ার কী দরকার? বিএনপি বলে আমরা খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিতে ভয় পাই। যে লোক দেশে থেকে অশ্বডিম্ব পাড়ে, সে লোক বিদেশে গিয়ে কি পারতে পারবে?
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আইনমন্ত্রী রেলপথে আখাউড়ায় আসেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন, সেতু ও সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী এসময় ৩৮ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পরে সড়কপথে নিজ জন্মভূমি কসবায় যান আইনমন্ত্রী। বিকেলে কসবা উপজেলায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে প্রমাণ করে আপনার ভোট দিতে পারেন। ভোটের জন্য জনগন যেভাবে চায় সেভাবে পরিবেশ করে দেয়া হবে। নির্বাচন ইনশাল্লাহ্ সুষ্ঠু হবে। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির নেতারা এয়ার কণ্ডিশন ঘরে থেকে অভিযোগ করে- সরকার এটা করেনাই, ওটা করেনাই, সেটা করেনাই। অথচ তারা জনগণের সামনে এসে কিছুই বলে না। এয়ার কণ্ডিশন ঘরে জনগণ থাকে না বলেই বিএনপি নেতারা হম্বতম্বি করতে পারেন। বাস্তবে তাদের দৌড় এদেশের জনগণও বেশ ভালো করেই জেনে গেছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ্, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন। সমাবেশে আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব নূর কুতুব উল আলম, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।