‘চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার’
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে “ বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে চীনের অবদান” শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার লিমিটেড-সিবিএফসিএল। শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা থেকে শুরু করে ১২.৩০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে ঘুরে ফিরে এ ধরনের মন্তব্যই করেন বক্তারা। ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব গোলাম সারওয়ার মিলন। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সিবিএফসিএল এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান গুয়ো পেই লিন পিটার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিবিএফসিএল এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম বাবু।
আরো পড়ুন:
সিবিএফসিএল এর সমাজকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক জনাব শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এর পর সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাহী পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম বাবু ওয়েবিনারের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল এইচ এম জি আজম কে অনুরোধ করেন। অধ্যাপক ড. আজম অত্যন্ত সার্থক ভাবে চীন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও সামাজিক সম্পর্কের ইতিহাসভিত্তিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বিশেষ বক্তা লিগ্যাল ইকনমিষ্ট এম এস সিদ্দিকির পরিনেশনায় উঠে আশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব বঙ্গবন্ধুর চীন সফর এবং স্বাধীনতা পরবর্তী পারস্পারিক সহযোগিতায় গড়ে উঠা ইস্পাত কঠিন চীন-বাংলাদেশ বন্ধু প্রতিমতার কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধা রোটরীয়ান গোলাম মুস্তাফা অত্যন্ত সাবলিল ভাবে স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর। তাঁর কথায় উঠে আশে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছে বাংলার স্বাধীনতা। কিভাবে চীন একটি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
ওয়েবিনারের বিশেষ অতিথি সাবেক মন্ত্রি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব গোলাম সারওয়ার এর কথায় বার বার উঠে এসেছে একটি প্রসঙ্গ -“চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার’’। ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বিশেষ সরকারী কাজে রিমোট এলাকায় থাকায় সময় মতো ওয়েবিনারের সংযুক্ত না হতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশান প্রতিনিধিদের অংসগ্রহনের মাধ্যমে ওয়েবিনারেটি চীন বাংলার একটি মিলন মেলায় পরিনত হয়। ওয়েবিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাইনীজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (সিইএবি) প্রেসিডেন্ট কে ছাংলিয়াং,এবিসিএ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ড. নাযমুজ-সাকিব, বিসিওয়াইএসএ এর প্রেসিডেন্ট মারুফ হাসান, বিএএইচকে এর সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান পলাশ প্রমুখ। এছাড়া চীন দূতাবাস এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকরা এতে অংশ করেন।
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার লিমিটেড-সিবিএফসিএল। যার বিজয়ীরদের নাম ডিজিটালী লটারীর মাধ্যমে ঘোষণা করেন সিবিএফসিএল এর সহকারী পরিচালক মইন উদ্দিন হেলালী।
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রোগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিবিএফসিএল এর ভাইস চেয়ারম্যান রোটারীয়ান মোহাম্মদ কামরুল হাসান অনুষ্ঠানে অংসগ্রহনের জন্য সাবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন। ওয়েবিনারের সভাপতি সিবিএফসিএল সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান গুয়ো পেই লিন পিটার সভাপতির সমাপনি বক্তব্য প্রদান করে ওয়েবিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য ওয়েবিনারের লাইভ ভিউ ছিল নজর কারার মতো। প্রায় ৫৫০০ জন এই ওয়েবিনারটি অনলাইন এ একসাথে উপভোগ করেন। এই কাজটি সহজ করে দিয়েছেন টিম এলাইভ সম্মানিত সদস্যরা। এই জন্য আমরা টিম এলাইভ এর সম্মানিত সিএইও এবং সিবিএফসিএল এর ইভেন্ট ডিরেক্টর আব্দুর রাজ্জাক মামুন এর প্রতি কৃতজ্ঞ।
–সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।