জেল-জরিমানা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে

 

আখাউড়া প্রতিনিধি।।
ভারতের ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলছে। কোন ভাবে এর লাগাম টানা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে চলছে সারাদেশে কঠোর লকডাউন। এই দিকে আখাউড়ায় প্রথম দিকে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা কম থাকলেও আস্তে আস্তে এর সংখ্যাটি বেড়েই চলছে সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটিতে।গত কয়েকদিনে এই উপজেলার ডাক্তার নার্স সহ অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে জনমনে একটি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সারাদেশে ন্যায় এই উপজেলাতে চলছে চলমান সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন,মাঠে তৎপর রয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। তারপরও যেন মানুষের কাছে করোনা ভাইরাস একটি অবহেলার পাত্র। কাউকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা গেলেও আবার কাউকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। লকডাউন উপেক্ষা করেই আবার অনেকেই বাহিরে অপ্রয়োজনীয় ভাবে করছেন ঘুরাফেরা।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে স্থলবন্দর থাকার সুবাধে ভারতে আটকা পরা অনেক বাংলাদেশী নাগরিক এই স্থল বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে ফিরছেন। এতে করে সংক্রমণ ঝুকি দিন দিন বেড়েই চলছে এ উপজেলাটিতে।

জানা যায়, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল ভূইয়া সহ টনকি গ্রামের ৬৯ জন কে পরিক্ষা করে ১৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একই গ্রামের ৩ জন মারাও গেছেন করোনায়।

জেলা সিভিল সার্জন এর তথ্য মতে,গত ২৪ ঘন্টায় এই উপজেলাতে ২১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যা পূর্বে রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত আখাউড়াতে ৩৮৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২৬৫ জন, মৃত্যু বরণ করেছে ১৩ জন।

চলমান সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ অমান্য করায় নিয়মিত চলছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববারও করোনা বিধিনিষেধ লঙ্গন করায় ১২ টি মামলায় ১৫ জনকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের সড়ক বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব না মানায়, মাস্ক না পড়ায়, লকডাউন অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে ঘুরাঘুরি করায় ১৭ জন ব্যাক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.সাইফুল ইসলাম।