ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা না নেয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছুরিকাঘাতে তরুণ ফল ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর নন্দনপুর এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধের কারণে দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। দুর্ভোগে পড়েন হাজারো মানুষ।
মঙ্গলবার(১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় ওই অবরোধ কর্মসূচিতে নন্দনপুর গ্রামের কয়েকশ’ নারী-পুরুষ অংশ নেন। এতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রকাশ,সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে স্থানীয় খাঁটিহাতা গ্রামের ফল বিক্রেতা জাকিরের ছুরিকাঘাতে আরেক ফল বিক্রেতা তারেক মিয়া (১৬) খুন হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন নিহত তারেকের বাবা বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা সোবহান মিয়া। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নন্দনপুর গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। ঘটনাস্থলের দুই পাশে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। খবর পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরানোর পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে মহাসড়কে বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মিনারা বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে তারেক মিয়াকে হত্যা করেছে জাকির এবং তার সহযোগীরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।