ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২১ জামায়াত নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামায়াত শিবিরের ২১ নেতা-কর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলা জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক আমীরও রয়েছেন।
রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মো মাসুদ পারভেজ এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে ২১ আসামীর মধ্যে সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা জামায়াতের আমীর সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক আমীর নজরুল ইসলাম খাদেম, সেক্রেটারি জেনারেল, কাজী ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হেলাল উদ্দিন ভুইয়া, জামায়াত নেতা গোলাম ফারুক, রুস্তম আলী, রাশেদুল করিম রানা, জাহিদুল ইসলাম, আশ্রাফুল ইসলাম বাবু, মো. জাহাঙ্গীর আলম ইকবাল, সহিদুল ইসলাম, মো. সানা উল্লাহ, কাজী আবু জাহের, মো. একরামুল রহমান ওরফে এমরান, মো. মহসিন মিয়া, মো. আজিজুল হাকিম প্রকাশ তানভীন, মো. নুরুল্লাহ্, বিল্লাল আহমেদ এবং নিপু।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর হরতাল চলাকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পীরবাড়িতে পুলিশের খাবারের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বর্তমানে জেলার বিজয়নগর থানার ওসি আতিকুর রহমান। দীর্ঘ শুনানী এবং সাক্ষ্য গ্রহণশেষে আদালত ২১ জনের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করে।
রায়ে ২১ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে সহিদুল ইসলাম, মো. সানা উল্লাহ, কাজী আবু জাহের, মো. একরামুল রহমান ওরফে এমরান, মো. আজিজুল হাকিম প্রকাশ তানভীন, মো. মহসিন মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক থাকা বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ দিদারুল আলম নিশ্চিত করেছেন।