৭ জেলায় ৭ বিয়ে; শ্বশুর বাড়িতে প্রবাসী পরিচয়ে প্রতারণা!

 

মহিউদ্দিন মোল্লা
প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে বিয়েকে বেছে নেয় এক যুবক। যেখানে বিয়ে করেন ওইখানে নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী। এলাকার বেকার যুবকদের কাতারে নেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন টাকা পয়সা। এমন করে ৭ জেলায় ৭ টি বিয়ে করেন। পরে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। অবশেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। ওই যুবকের নাম শাকিল আজাদ (২৯)। তার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়। বুধবার কুমিল্লা র‌্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মেজর সাকিব জানান, গ্রেফতার শাকিল আজাদ প্রতারণার মাধ্যমে কুমিল্লা,চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, নীলফামারী ও ফরিদপুরে বিয়ে করেন। শাকিল আজাদ প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আগে তারপর ওই এলাকার নিম্ন আয়ের পরিবার খোঁজেন। সেই পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রসায় দান খয়রাত করেন। নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী। তারপর শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকার যুবকদের কাতার নেয়ার কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে উধাও হয়ে যেতেন। পরে প্রতারণার শিকার বেকার যুবকরা প্রতারকের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে টাকার জন্য চাপ দেন। এমন ঘটনায় একদিকে কন্যাকে নিয়ে দুঃচিন্তা অন্যদিকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য এলাকার যুবকদের চাপ সব মিলিয়ে অসহ্য হয়ে উঠতো ওই পরিবারের মানুষদের জীবন যাপন।

আজাদ চতুর্থ বিয়েটি করেন খুলনায়। সেখানের মানুষজন থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসে। ওই ঘটনা ২০১৮ সালের। পরে এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে ওই পরিবারটি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে গত ১৫ দিন আগে আজাদের চতুর্থ স্ত্রী কুমিল্লা র‌্যাব অফিসে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কমান্ডার সাকিব আরো জানান, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আজাদের পাসপোর্টটি বাতিল করেন। এতে সে ছদ্মবেশে চট্টগ্রামে একটি বেকারি খোলেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।