অতিথি পাখিতে বর্ণিল কুমিল্লার পুকুর-দিঘি

অতিথি পাখিতে বর্ণিল কুমিল্লার পুকুর-দিঘি

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার পুকুর-দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে নামছে অতিথি পাখি। বিশেষ করে শহরতলীর কয়েকটি পুকুওে নামছে নানা রঙের অতিথি পাখি। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চম্পক নগর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি পুকুরে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি নেমেছে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত চারপাশ। কিছু পাখি পুকুরে ভাসছে, পাশাপাশি কচুরিপানার ফাঁকে খাবার সংগ্রহ করছে। বিকালে পুকুর পাড়ে গিয়ে পাখির প্রদর্শনী দেখছে কিশোর-তরুণের দল।
পুকরের মালিক গাজী রিয়াজ মাহমুদ বলেন, গত তিন বছর ধরে অতিথি পাখিদের অভয় আশ্রম হয়ে উঠেছে এ পুকুরটি। পাখিগুলোর কেউ যেন তাদের ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখি।

ওয়াইল্ড ওয়াচ ইনফো কুমিল্লার পরিচালক জামিল খান বলেন, কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর,ছোটরা জলায় আগে অতিথি পাখি নামতো। পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সেখানে পাখি নামেনা। শীতপ্রধান দেশের পাখিরা অতিথি হয়ে আসে আমাদের দেশে। একটু উষ্ণতার আশায় হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলে আসে। খুঁজে নেয় নির্জন স্থান, জলাশয় ও বনাঞ্চল। দুর্ভাগ্যজনক হল, অতিথি পাখি এদেশে অতিথি হয়ে থাকতে পারছে না। শিকারীর হাতে তারা ধরা পড়ছে। পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কুমিল্লার পুকুর গুলোতে পাখি নামার পরিবেশ করে দেয়া উচিত।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ বলেন, সাইবেরিয়া,অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, তিব্বতের উপত্যকা অঞ্চল থেকে প্রতিবছর অতিথি পাখি আসে। পাখি গুলোর মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাংকবুতর, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস ও সিরিয়া পাতিরা প্রভৃতি। পাখি আবর্জনা খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া এর পায়খানাতে ফসফরাস রয়েছে। যা সবজি উৎপাদনে সহায়ক। পাখি রক্ষায় সবার ভূমিকা প্রয়োজন।