সেই নাজমুলের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অর্ধশত তরুণ-তরুণী!
আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
নাজমুল হাসান। কুমিল্লার দেবিদ্বারের প্রত্যন্ত গ্রাম গোপালপুরের বাসিন্দা। বয়সের সঙ্গে বাড়ে তার স্বপ্নও। এক সময় তার মন আটকে যায় আইটিতে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে এখন নাজমুল আইটি উদ্যোক্তা। এ কাজের শুরুর দিকে ততটা কাজ না পেলেও নাজমুলের অফিসে এখন কাজ করে অর্ধশত তরুণ-তরুণী। এই আইটি উদ্যোক্তা সোমবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলায় নতুন অফিস উদ্বোধন করেছেন। নাম দিয়েছেন মাইক্রোটার্স।
রসায়নে মাস্টার্স করা নাজমুল জানান, তার প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এসইও, ভিডিও এডিটিং, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিং, ওয়েব সাইট ডেভেলপমেন্ট, এআই সাস বিজনেস করে থাকে। কিন্তু প্রথম দিকে কাজ পাওয়া এতো সহজ ছিলোনা। ২০১১ সাল থেকেই নাজমুলের অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু। প্রথমে নিজেকে ডেভেলপার হিসেবে গড়তে চেয়েছেন। পরবর্তীতে ডেভেলপার হতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ২০১১ সালের পর অফিসিয়ালি কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু প্রথমেই বিপত্তি। কাজ নেই। বাংলাদেশে তখন আইটি সেক্টর মানুষের অপরিচিত। অনেকে ইন্টারনেটও ব্রাউজ করতে জানতেন না। সারা মাসে কাজ পেতেন একটি। তাও ইনকাম ২০ থেকে ৩০ ডলার। তাই প্রথম কয়েক বছর নাজমুল নিজেকে দক্ষ করার জন্য নিজেই কাজ করতেন। পরবর্তীতে মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সুবিধে ধীরে ধীরে কাজ পেতে থাকে। কয়েকটি কোম্পানির কাজ পেয়ে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে অফিসিয়ালি এবং ভার্চুয়ালি তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন অর্ধশত নারী পুরুষ।
নাজমুল বলেন, আমি প্রথম দিকে কাজ না পেয়ে হতাশায় পড়েছিলাম। কিন্তু সরে যাইনি। আমার চেষ্টায় ত্রুটি ছিল না। আমি এখন নতুন স্বপ্ন দেখি। আমার স্বপ্ন আগামী দুই বছরে ১০০ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান করা।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রাহমান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করা। যাতে আরও বেশি বেশি আমরা দেশকে সহযোগিতা করতে পারি।