আওয়ামী লীগ সভাপতিকে থানায় নিয়ে বেধরক মারধর

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় বরকইট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবুল হাসেমকে থানায় নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার।
তিনি জানান,সোমবার চান্দিনা বাস স্টেশন সংলগ্ন একটি দোকান থেকে তাকে আটক করে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নোমান হোসেন। তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা না হয়েও নিজের উপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজেই আটক করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈকত দাশ গুপ্ত জানান, এস.আই নোমান হোসেন আসামি হাসেমকে আটক করার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই।
আবুল হাসেমের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার জানান- আমাদের বাড়ি শ্রীমন্তপুর হলেও চান্দিনা সদরের খাঁন বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টার দিকে বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের সাথে যে ঘটনা ঘটে ওই ঘটনার সময় আমার স্বামী চান্দিনা পশ্চিম বাজারের হাজী আলী ম্যানশনে সাবেক পৌর মেয়র মফিজুল ইসলামের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীক আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। পরদিন জানতে পারি আমার স্বামীর নেতৃত্বে নাকি পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে ১১ ফেব্রুয়ারি চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সুজন দত্ত বাদী হয়ে ওই এজাহারে আমার স্বামীকে ২নং আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান- আমার স্বামী কি চোর না ডাকাত? আমার স্বামীকে মিথ্যা ঘটনায় গ্রেফতার করে থানার দ্বিতীয় তলায় এস.আইদের কক্ষে নিয়ে বেধরক পিটিয়েছে এস.আই নোমান হোসেন। আমার স্বামীকে পেটানোর শব্দ এবং চিৎকার শুনেছি নিজ কানে।
চেয়ারম্যানের স্ত্রীর এমন অভিযোগের পর চান্দিনায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা থানায় এস.আই নোমান হোসেনের টেবিলে থাকা অ্যালমুনিয়ামের একটি পাইপ দেখতে পান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন- যে মামলায় দ্বিতীয়বার পুলিশ আটক করতে এসেছে ওই ধরণের কোন ঘটনাই এলাকায় ঘটেনি। পুলিশ একটি চক্রের সাথে আঁতাত করে একের পর এক ঘটনা ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলেছে।
সাবেক পৌর মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগ সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সময় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেমসহ আমরা বাজারে প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠক করেছি। এ মামলায় আবুল হাসেমকে আসামি করা অত্যন্ত দুঃখজনক।
চেয়ারম্যান আবুল হাসেমকে থানায় নিয়ে মারধর সম্পর্কে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নোমান হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমকে আটক বা থানায় নিয়ে মারধর করার ঘটনা যা-ই হোক আমি সে সময় থানায় ছিলাম না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারবো। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে মারামারির ঘটনায় আহত দেখিয়ে মামলা দায়ের করার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি মামলা মিথ্যা হয়, তাহলে আমরা ফাইনাল রিপোর্ট দিব।