দুর্নীতিমুক্ত কুবি গড়ে তোলার সংগ্রাম তার!
অফিস রিপোর্টার।।
দুর্নীতিমুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) গড়ে তোলার সংগ্রাম চলছে। গত দুই বছরে এই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভিসি প্রফেসর ড.এএফএম আবদুল মঈন। এতে অনেকের অবৈধ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি নানা প্রতিবন্ধকতারও মুখে পড়েন। তিনি সব অন্ধকার দূরে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছেন আলোকিত এক বিদ্যাপিঠ গড়ে তুলতে। এদিকে শিক্ষার মান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বাড়ছে ক্যাম্পাসের। বৈশ্বিক এডি ইনডেক্সের গবেষকদের তালিকায় যেখানে কুবির ৫ জন শিক্ষক ছিলো, তা গত দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। পূর্বে ‘এপিএ’তে(বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) কুবির অবস্থান ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিলো, যা দুই বছরে ১০ম স্থানে উন্নীত হয়েছে। এই বছর ‘এপিএ’তে শীর্ষ ৫ এর মধ্যে অবস্থানের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে কুবি প্রশাসন।
শিক্ষক,কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা বলেন, কুবিতে দুর্নীতিমুক্ত প্রকিউরমেন্ট ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ করা হয়েছে। গুণগতমানহীন আসবাবপত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার বাতিল করাসহ পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ না করায় জরিমানা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।
কুবির সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তনের প্রতিষ্ঠাতা অনুপম দাশ বাঁধন বলেন, গত কয়েক বছরে কুবি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। সেশনজট হ্রাস করতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ভিসি স্যারের নির্দেশনায় শিক্ষকদের ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও পাঠদানকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এতে গত দুই একাডেমিক সেশনে কোনো জট সৃষ্টি হয়নি।
তিনি আরো বলেন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলায় একটি চক্র ভিসি স্যারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের এই অপকর্ম শিক্ষক,কর্মকর্তা,ছাত্র কেউ পাত্তা দিচ্ছেন না।
কুবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা.হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আর স্কুল কলেজ এক নয়। এখানে ছাত্র- শিক্ষক সকলকে গবেষণা করতে হয়। ভিসি স্যার গত দুই বছরে সেই কাজটি চালু করেছেন। এছাড়া দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।
ভিসি প্রফেসর ড.এএফএম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু একাডেমিক কালচারের উন্নয়নের প্রতি আরও নজর দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। একটি মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু একাডেমিক কালচারের কোনো বিকল্প নাই। এরকম একাডেমিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের কনফিডেন্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, প্রচলিত শিক্ষক-কেন্দ্রিক শিখন ব্যবস্থার পরিবর্তে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিখন পদ্ধতি প্রয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছি, যেখানে তাদের আউটকাম বেইজড লার্নিং,ডিপ লার্নিং,অথেনটিক লার্নিং,স্টুডেন্ট এনগেজমেন্ট ও ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান, সার্বক্ষণিক মেডিকেল সেবা, ক্যাফেটেরিয়ার মান উন্নয়নে কাজ করব। এখানে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্টাডি এরিয়া তৈরি করাসহ বিদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করবো।