আগেও হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা হয় সিলভার মুন নিয়ে
অফিস রিপোর্টার।।
সিলভার শাপলা টাওয়ারে ডা. জহির হত্যাকাণ্ডের পর আলোচনায় সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। শাপলা টাওয়ারের ঘটনার আগে সিলভার মুন নিয়েও মামলা। গ্রেফতারি পরোয়ানা হয়েছিলো সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি জামিনে আছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এ মামলার বাদী ঝাউতলা সিলভার মুনের হামিদা বেগম জানান, আমরা ফারুক সাহেব থেকে সিলভার মুনের ২৫১/৮ আর এ নামক একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করি। বসবাসও শুরু করি। এক বছর পর আমাদের বাসার হোল্ডিং কর বিল আসে অন্য ব্যক্তির নামে। বিষয়টি আমরা নগর ভবনকে অবহিত করি। তাদের জানায় ফ্ল্যাটের মালিক অন্য একজন। তখন আইনজীবীর পরামর্শ নিই। সকল ডকুমেন্ট আদালতে জমা দেই।
হামিদা বেগমের আইনজীবী অমিতাভ ঘোষ বলেন, নকশা বহির্ভূত ভবন তৈরি ও ফ্লাটের ক্রেতার সাথে প্রতারণা মামলায় গতবছরে ২১ জুন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সে মামলায় সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তিনি আদালত থেকে জামিন নেন। পরে খবর নিয়ে দেখা যায়, সিলভারসহ অধিকাংশ ডেভেলপার এ কাজটির সাথে জড়িত। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে কল দিয়ে সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তার জনাব দেননি তিনি।
সিলভার শাপলা টাওয়ারের বাসিন্দা ফারহানা আফরিন হিমি অভিযোগ করেন, ফারুক সাহেব একটি ফ্ল্যাট একাধিক জনের নিকট বিক্রি করেন। যে ফ্ল্যাটে সুবিধা বেশি, সেটি নিয়ে তিনি এ কাজ করে থাকেন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশ প্রধান প্রকৌশলী জি.পি. চৌধুরী বলেন, যারা নকশা বহির্ভূত ভবন তৈরি করে, নীতিমালা ভঙ্গ করে সবাইকে আমরা চিঠি দিয়ে থাকি। কেউ হোল্ডিং বিল না দিলে কর শাখা বছরে তিন চারবার রশিদ প্রেরণ করে থাকে।