আন্দোলনের নামে মহাসড়ক অবরোধ আর নয়–এম রুবেল হোসেন

আর কোন আন্দোলন নয় আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট যেন না হয়। প্রাণপ্রিয় কোমলমতি পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সকল যৌক্তিক দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে সমাধান হয় তাহলে রাস্তায় গিয়ে অহিংস দাঙ্গা হাঙ্গা কেন হয়?
আমার মনে হচ্ছে বর্তমানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কে উস্কানি দিয়ে একটি জাতি গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছে এটা কোন ভাবেই মানার মতো নয় ‌। আমি একজন পলিটেকনিকেল এর সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী এবং বিচক্ষণতার পরিচয় রাখে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা কারো উস্কানির ধারা ব্যবহার হতে পারে না।
প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা আমি তোমাদের সকল যৌক্তিক দাবির সাথে একমত কিন্তু সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে আমার বিশ্বাস স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।
তোমরা কারো প্ররোচনায় রাস্তায় অবরোধ করতে নামলে তোমাদের সাথে কেউ থাকবে না উল্টো তোমরাই মামলায় জড়িয়ে নিজেদের জীবনকে নষ্ট করবে পরিশেষে দেখবে তোমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কাউকে পাশে পাবে না যেমনটা আমি ২০১৩ সালের আন্দোলনের পরে দেখতে পেরেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রিয় কোমলমতি শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা আমার অনুরোধ থাকবে তোমরা রাস্তায় গিয়ে জ্বালাও-পোড়াও রাস্তা অবরোধ করা থেকে বিরত থাকবে।
তোমরা তোমাদের যৌক্তিক দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষের মাধ্যমে আবেদন করে সমাধান করতে পারো এই জন্য রাস্তায় নামার কোন প্রয়োজন নেই ‌ ।  আমি পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আর কোন ক্ষতি দেখতে চাই না এবং পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা আমার কোমলমতি ভাই ও বোনেরা কোনভাবে বিপদগ্রস্ত হোক সেটাও চাইনা আশা করি আমার এই পোস্ট যারা পড়বে তারা আজকের পর থেকে কারো প্ররোচনায় কিছু না বুঝে রাস্তায় গিয়ে অন্যদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না এবং নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিজের পরিবারকে ভোগান্তিতে ফেলবে না।

 

 

লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগ।
বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ।