আবর্জনায় ভরাট মাইথারকান্দি, ব্যাহত ৫হাজার বিঘার চাষাবাদ

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
আবর্জনায় ভরাট মাইথারকান্দি খাল। এই খাল আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ। খালটির উৎসমুখের আবর্জনা পরিচ্ছন্ন ও ভরাট হওয়া অংশ খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,আবর্জনায় খাল এমন ভাবে ভরাট হয়েছে, তা খাল না ভাগাড় দেখে বুঝার উপায় নেই। কয়েকজন আবর্জনা ফেলছেন, কাক তা নিয়ে টানাটানি করছে। পাশের সড়কে শিক্ষার্থীরা নাকে হাত দিয়ে পার হচ্ছে।
কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, মাইথারকান্দি খাল কালাডুমুর নদ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে মাইথারকান্দি,পলুদ্দির পাড়, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা, বারিকান্দি, রাঙা সিংগুলিয়া, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারি, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদীতে মিশেছে। এটি বড় খাল নামেও পরিচিত। আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মাইথারকান্দি খাল ৩টি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। তিন ইউনিয়নের প্রায় ৩০গ্রামের কৃষক শুকনো মৌসুমে সেচের পানি পাচ্ছেন না,এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণেও সময় মতো ফসল আবাদ করতে পারছেন না। খালটির বিভিন্ন জায়গায় যে যার মত করে দখলে দূষণে হত্যা করছে।
আমিরাবাদের বাসিন্দা হানিফ খান বলেন, এই খালটি এক সময়ে জল টলটলে ছিলো। এটি দিয়ে নৌকা চলতো। জেলেরা মাছ ধরতো। কৃষক এর পানি জমিতে ব্যবহার করতেন। এটি এখন মরা খাল। ১০বছর ধরে খালটির দুরাবস্থা। খালটিকে বাঁচিয়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মইনুল হাসান বলেন,এটি কয়েকবার পরিষ্কার করা হয়েছে। আবারও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা জায়গা খুঁজছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, বিভিন্ন সময়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের সচেতনের চেষ্টা করেছি। খালটি সচলের জন্য আমরা পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।