নগরীতে বাড়ছে খুঁটি দুর্ভোগ

কাটা অংশে দুর্ঘটনা, যান চলাচলে বাধা

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। কিছু খুঁটি মূল সড়কের দুই থেকে পাঁচ ফিট পর্যন্ত দখল করেছে। অন্যদিকে তিনবছর আগের পুরাতন রড-সিমেন্টের খুঁটি ফেলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সড়কের পাশে। স্টিলের তৈরি খুঁটি পূর্ণ অংশ তোলা হয়নি। কেটে নেওয়া হয়েছে উপরের অংশ, এতে পা আটকে যায় পথচারীদের। নগরী জুড়ে খুঁটি নৈরাজ্যে সংকীর্ণ হচ্ছে সড়ক। ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ধারাবাহিকভাবে খুঁটি সরানো হচ্ছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর রাণীরবাজার সড়কে করভবনের সামনে প্রায় ছয় ফিট জায়গা দখল করে বৈদ্যুতিক খুঁটি। খুঁটি থাকায় সড়ক ও ড্রেনকে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং বানিয়েছেন চালকরা। টমছমব্রিজ আরব হোটেলের সামনের মূল সড়কে পাকা সড়কের দু’ফিট জায়গায় বসানো আছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। এমন চিত্র নগরীর অনেক সড়কে। লাকসাম রোডের অভয় আশ্রমের সামনে স্টিলের খুঁটির দু’ফিট মাটির উপরে রেখে কেটে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ লাইন মোড় থেকে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ১২-১৫টি স্থানে রয়েছে স্টিলের খুঁটির নিচের অংশ। নজরুল এভিনিউয়ের মুখে সড়কে খুঁটি থাকায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এমন দৃশ্য নগরীর অলি-গলিতে রয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নবাব ফয়জুন্নেসা বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক ও নগরীর বিভিন্ন সড়কে অনুমানিক ৪০টি স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের পাশে রাখা আছে।
ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র আদনান আরিফ শুভ বলেন, স্টিলের খুঁটিতে যদি পা আটকে যাওয়ার আশংকা বেশি। কেউ না দেখে হাঁটতে বড় বিপদ হতে পারে। খুঁটি পুরোপুরি না তুললে এ সমস্যার সমাধান হবে না।


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. ছামছুল আলম বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। বারবার বলা হয়েছে। এসব খুঁটির কারণে মানুষের সমস্যা হয়।
নগরীর শাকতলার বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, কান্দিরপাড় -রাজগঞ্জ হাঁটতে গেলে ভয় হয়, পা খুঁটিতে ঢুকে যায় কিনা। মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাই, সেখানেও রাস্তার পাশে খুঁটি।
কুমিল্লা সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, কান্দিরপাড় -টমছমব্রিজ সড়কটি আমাদের। সড়কে খুঁটির বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে লিখবো। সমস্যা হলো তাদের টাকা দিতে হয়। বিদ্যুত বিভাগের খুঁটি অপসারণের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আমাদের।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. তাফাজ্জল হোসেন প্রমাণিক বলেন, মূল সড়কের অংশে খুঁটি থাকলে সড়ক কর্তৃপক্ষ চিঠি দিলে আমরা তা অপসারণ করবো। যদি পাশে জায়গা থাকে। আর সড়কের পাশে আরো বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিলো, ধারাবাহিকভাবে তা সরানো হচ্ছে। এসব খুঁটি রাখার মতো আমাদেরও জায়গা নেই। অসম্পূর্ণ ভাবে যে সকল খুঁটি কাটা হয়েছে। বিষয়টা আমার জানা ছিলো না। খবর নিয়ে দেখবো কি করা যায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান বলেন, বিদ্যুত বিভাগের বিষয়ে গত মাসিক সভায় কথা হয়েছে। তারা একটু সময় চেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অপসারণ করা হবে।