আমার আর কোন মুরুব্বি থাকলো না

আবুল হাসানাত বাবুল।।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমেরিকায় ছিলেন শামসুননাহার রাব্বী। আমাদের থেকে দূরে, অনেক দূরে। তবুও তো ছিলেন। আমি মনে মনে ভরসা করে থাকতাম চাচীতো আছেন। তিনি আমার খোঁজখবর রাখতেন। আমিও রাখতাম।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আমার কন্ঠনালিতে ক্যান্সার ধরা পড়ার খবর শুনে চাচী পারভীনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছিলেন। পারভীন থেকে শুনেছিলাম চাচী টেলিফোনে অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন।

 

বলছিলেন বাবুলের চিকিৎসার জন্য টাকা কোথায় পাবে? সংসারটা কিভাবে চালাবে? তখন আমার কথা বলা সম্ভব ছিল না। কন্ঠস্বর ছিলনা। প্রায় আধঘন্টা চাচী কান্না করছিলেন। পরে বাকীনের সহধর্মিনী শাহানা এসে পারভীনের সঙ্গে কথা বলে। আমার আর কোন মুরুব্বি থাকলো না। যিনি আমার আপদে বিপদে কান্না ঝরিয়ে আমাকে সাহস জোগাবেন। আমার মাতৃতুল্য চাচী শামসুননাহার রাব্বীর মৃত্যু সংবাদটি দেয় সাংবাদিক শাহজাদা এমরান। সেও মোবাইল ফোনে কাঁদছিল। ২৫ জুন শুক্রবার। রাত ১০টার খবর দেখছিলাম। মুহূর্তেই ঘরে নীরবতা নেমে আসে। আমার ছেলেমেয়েরা পরস্পরের মুখের দিকে তাকায় কিন্তু কিছুই বলে না। পারভীন চেষ্টা করছিল মোবাইলে বাকীনের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আগের রাতে বাকীন খুব আস্তে বলছিল, বাবুল ভাই, পরে কথা বলবো। আমি বলছিলাম কিছুক্ষণ আগে মসজিদ থেকে এসেছি। বাকীন বলছিল- বাবুল ভাই আমি জানি আপনি দোয়া করবেন। শুকরিয়া আদায় করে গভীর ঘুমে চলে গিয়েছিলাম। পরদিন শুক্রবার। জুমার নামাজে প্রাণভরে দোয়া করলাম। সন্ধ্যা হলো। রাত বাড়তে লাগলো। শাহজাদার সঙ্গে কথা বলার পর যখন সবাই নীরবতা পালন করছিলাম। তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাকীনের পাঠানো চাচীর মৃত্যু সংবাদ পেলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা। আমেরিকায় শুক্রবার দিন বেলা বারোটা। তারপর পারভীন জানাচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নীতিশ সাহা, সৈয়দ নুরুর রহমান, হেলালউদ্দিন, নজরুল ইসলাম বাবুল, সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ, মহিউদ্দিন মোল্লাসহ কুমিল্লার কারা কি কি লিখে শোক প্রকাশ করেছিল। আমি কোনদিন আমার আপনজনদের স্নেহ, মায়া, ভালবাসা, শ্রদ্ধা বুঝাতে পারতাম না। আমার কাছে এমন কোন বিশেষণ নেই যা ব্যবহার করে চাচীর বিদায়ের বিষয়টা কাউকে অবগত করাতে পারি। মাতৃতূল্য চাচীর সঙ্গে আমার কেমন সম্পর্ক তা আমি কোনদিন জানাতে পারিনি। আজো পারবো না। জীবদ্দশায় তিনি কুমিল্লায় এবং নারী সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের ইতিহাস হয়েছেন। সেই ইতিহাস নাড়াচাড়া হতে পারে, তার বেশী কিছু না।

মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী-শাসমুননাহার রাব্বী ইতিহাস। বিরাট ইতিহাস। তাদের সন্তান রিভা, বাকীন, রুহি, টুকুকে নিয়ে আমোদ পরিবার মহাকালের বুকে আপন বৈশিষ্ট্যে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে বহু আগে। এখন ইতিহাসের দরজা খুলে ভিতরের হিরা, পান্না, চুনি স্বর্ণের স্পর্শ নেয়া মাত্র। আমোদ পরিবারের মহাকালের বুকে আমার সম্পর্ক টানা তেইশ বছরের। তেইশ বছরে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, শামসুন্নাহার রাব্বীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে আমোদ পরিবার সম্পর্কে আমার জানার কি আর বাকি থাকবে?

১৯৭৪ থেকে ১৯৯৫। এই সময়কালে আমি একদিনও আমোদ পরিবার থেকে বিছিন্ন ছিলাম না। আমি যখন আমোদে প্রবেশ করি আমোদ তখন যৌবনে পদার্পণ করছে। ঠিক সেই সময়কালে চাচী থেকে জেনেছিলাম আমোদের শৈশবকে তিনি কিভাবে লালন করেছিলেন। কিভাবে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেছিলেন। আমার মনে পড়ছে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর। দৈনিক রূপসী বাংলার দায়িত্ব শেষে রাত বারোটায় বাড়িতে ফিরে এলাম। সে সময় গোমতীর পাড় চান্দপুর গ্রামে থাকতাম। খেতে বসেছি মাত্র। ঠিক সে সময় খুব দ্রুত বাকীন এলো। জানালো বাবুল ভাই আব্বা আর নেই। খাওয়ার টেবিল থেকে ওঠে দাঁড়ালাম। বাকীন দ্রুত চলে গেল। কি সম্পর্ক থাকলে রাত ১২টা শেষে পিতার মৃত্যুর খবর নিজে দিতে আসে। সেসময় আমাদের মোবাইল ফান ছিল না। আমার টেলিফোনও ছিল না। কি খেয়েছি জানিনা। প্যান্ট, শার্ট পরে রওনা হয়ে গেলাম। পারভীন রওনা দিতে চেয়েছিল। বারণ করলাম। আমার শিশুপুত্র সরোজ তখন গভীর ঘুমে। বললাম, তুমি সকালে যেও। এখন আমি যাই। আমোদে এলাম। বাকীন-টুকু টেলিফোনে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ড্রইংরুমের মেঝেতে রাব্বী চাচা চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে আছেন। পাশের কক্ষে চাচী পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করছিলেন। ২০২১ সালের ২৫ জুন নিউজার্জির তাদের বাসাবাড়িতে কারা কোরআন তেলোয়াত করছিল তা আমি জানি না। বাকীন দাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এটা তো আর কুমিল্লা নয় যে, পাড়ার ছেলেরাই চাচার কবর তৈরিতে নেমে গিয়েছিল। যার যার দায়িত্বে খবর পৌঁছানো এবং দাফন-কাফনের ব্যবস্থার কাজ চলছিল। হয়তো অনেকে সহযোগিতা করছিল। রিভা, রুহি, শাহানা, টুকু হয়তো কোরআন তেলাওয়াত করছিল। হয়তো কেন বলছি। তারা সবাই ধার্মিক। যার যার মত করে দায়িত্ব পালন করছিল। ১৯৭৪ সাল গেছে। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন দেশের চারটি পত্রিকা ছাড়া আর সব সংবাদপত্র সরকারি এক আদেশে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে খবর পেলাম আমোদ প্রকাশের ব্যবস্থা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি নির্দেশে সারাদেশে সর্বপ্রথম আমোদ প্রকাশনার অনুমতি দিয়েছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ হারুন পাশা।

 

আমোদে আবার যাওয়া শুরু করলাম। একদিন সকালে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমাকে তার সামনের চেয়ারে বসতে বললেন। আমার পরিবারের খোঁজ নিলেন। আমার বাবা “আবদুল হাই”-এর নাম বলাতে তিনি খুশি হয়ে বললেন, তুমি হাই সাহেবের ছেলে। যিনি রাজগঞ্জ এলাকার বড় ব্যবসায়ী এবং সামাজিক কাজের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাব্বী চাচা আরো বললেন- তাহলে হাফেজ শুক্কুর তোমার দাদা? বললাম, তিনি আমার বাবার চাচা। সে হিসেবে তিনি আমার দাদা। রাব্বী চাচা বললেন, তোমার দাদা আমাদের পরিবারের ওস্তাদ। তোমাকে পছন্দ করেছে তোমার চাচী। তখনই শামসুননাহার রাব্বী সামনের টেবিল থেকে বললেন, তুমি প্রতিদিন এসে নিউজ দিয়ে যাও একথাটা রাব্বী সাহেবকে জানিয়েছি। রাব্বী চাচা বললেন, আজ থেকে তুমি আমার ভাতিজা। পাশের টেবিলটা তোমার। সেখানে তুমি বসবে। তোমাকে দেখবে তোমার চাচী। সেই চাচী শামসুননাহার রাব্বী চার দশক আমাকে চোখে চোখে রেখেছেন। প্রতিদিন সকালের নাস্তা আমোদে করি। চাচীর বানানো রুটি, কখনো ডাল, কখনো ভাজি দিয়ে কখনো রিভা, কখনো রুহি, কখনো টুকু সকালের নাস্তা দিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আসেন চাচা। আমরা একসঙ্গে চা খাই। বেলা ১১টা কিংবা ১২টা পর্যন্ত কাজ করি। পাশেই কম্পোজ কক্ষে চারজন কম্পোজিটার (তাদের নাম মনে আনতে পারছি না। কেবল মনে আছে মেশিনম্যান তৌহিদ ও কাদিরের) আসেন। এক বছরের মধ্যে উপ-সম্পাদকীয়, কলাম লেখার দায়িত্ব আসে। অনেক সপ্তাহে সম্পাদকীয় লিখে দেই। খুব কম সময়ে চাচা ও চাচীর প্রিয়ভাজন হয়ে গেলাম। আমোদ প্রকাশের দিন বৃহস্পতিবারে চাচী সবজি খিচুড়ি রান্না করেন। কি যে মজা লাগতো তা আজো উপলব্ধি করি। সেই থেকে বছরের তিনটি উৎসবে আমোদে নিয়মিত যোগ দেই। দুপুরের খাবার গ্রহণ করি। এই তিনটি দিন হচ্ছে আমোদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন ৫ মে, পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার দিনে। গরুর গোশত দিয়ে চাচীর রকমারি খাবার ছিল এককথায় অপূর্ব। চাচা ছিলেন পাখী শিকারী। পাখীর ভুনা গোশত চাচী যেভাবে তৈরি করতেন তা আজো মুখে লেগে আছে। সেই বছরগুলোর কোন এক সময়ে চাচী বললেন তোমার বাড়তি কিছু কাজ করতে হবে। কেমন করে তিনি জেনে গিয়েছিলেন আমি ইনজেকশন পুশ করতে পারি। একাজটা আমি শিখেছিলাম করাচীর বন্দীশিবিরে জীবনযাপন করার সময়। রেডক্রস করাচী ইউনিটের সুইডিস অফিসার আমাকে বাছাই করেছিলেন স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে। যাতে অসহায় বাঙ্গালীদের স্বাস্থ্যসেবায় দায়িত্বপালন করতে পারি। তার একটি ছিল এই ইনজেকশন দেয়া। সিরিঞ্জ, সুই সবই আমি কিনে রেখেছিলাম। আমার গ্রামে বহুজনকে বিনামূল্যে আমি ইনজেকশন দিতাম। গীতিকার রঙ্গু শাহাবউদ্দিন, সুরকার আলাউদ্দিন বাবুল, তাদের অগ্রজ ইমামউদ্দিন বাচ্চু তাদের তিন ভাইকে ষাটটি করে মোট ১৮০টি ইনজেকশন দিয়েছিলাম। তারা ছিলেন সেইসময়ের যক্ষ্মারোগী। চাচী এই তথ্যটি জেনে গিয়েছিলেন। চাচী তার মা মমতাজ বেগমকে কিছু ইনজেকশন পুশ করবার জন্য আমাকে বললেন। একদিন চাচা-চাচী তাদের লাল কারে করে আমাকে বাগিচাগাঁও নিয়ে এলেন। এমনিতে সন্ধ্যার পরে দৈনিক রূপসী বাংলায় কাজ করবার জন্য বাগিচাগাঁও আসি। কিন্তু সেদিন বিকেলে এসেছিলাম চাচীর মাকে ইনজেকশন দেবার জন্য। প্রফেসর মোবাশ্বের আলী চাচীর বড় মামা। চাচীর মা পরিবারের সবার বড়। বাড়িতে প্রবেশ করে চাচা রঙ্গরস করে বললেন, ইয়ং ডাক্তার নিয়ে এসেছি। ওর নাম বাবুল, সেই ১০টা ইনজেকশন পুশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে আমি জানালাম, নানী আমি ডাক্তার নই। আমি সহযোগিতা করতে এসেছি। বাসায় ছিলেন চাচীর ছোট বোন মুকুল খালা। তিনি গরম পানি করে দিলেন। সিরিঞ্জ-সুই গরম পানিতে ধুয়ে নানিকে অর্থাৎ চাচীর মাকে ইনজেকশন দিয়েছিলাম। সবাই জানতেন এটা ছিল আমার সামাজিক দায়িত্ব। চাচী এ কাজটার জন্য আমাকে অনেক দোয়া করেছিলেন। এখন চাচী নাই কে আমাকে দোয়া করবে? সেই দুটি দশকে চাচা-চাচীর যেসব গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল সেই পান্ডুলিপিগুলো প্রাথমিকভাবে আমাকে দেখানো হতো। তার একটা ছিল চাচার ‘লাব্বায়েক’। এই গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তখন মহকুমা। সেই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের একজন আলোচক ছিলেন শান্তনু কায়সার। যার একটি বড় উপন্যাস আমোদে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। চাচীর শেষজীবনের লেখা ‘ভালবাসার পাঁচ দশক’ এতে আছে তাঁর স্মৃতিকথা, আত্মকথা। যা চাচী ও আমোদের মূল্যবান দলিল। আর অন্যকিছু বাদ দিলেও এই গ্রন্থটি চাচীকে অমর রাখবে।

 

১৯৭৮ সালে বাকীন ফ্রান্সে গিয়েছিল আলোকচিত্র বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে। ছিল একবছর। বাকীনের অবর্তমানে চাচীকে বেশী সহযোগিতা দিতে চেষ্টা করতাম। ১৯৭৯ সাল ছিল আমোদের পচিঁশ বছর। আমোদের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ এবং রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সংগঠিত করতে চাচা-চাচীকে আমি সহযোগিতা করতে পেরেছিলাম।

 

সবই মহৎ স্মৃতি। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুমিল্লায় এসেছিলেন। মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমোদ পরিবার নিয়ে বিশাল এই কর্মযজ্ঞ কভার করেছিলেন। রিভা, বাকীন ছবি তুলেছিল। চাচী আলাদাভাবে প্রেস গ্যালারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নিউজ কভার করেছিলেন। ১৯৭২ সালে ময়নামতি সেনানিবাসে মুক্তিযুদ্ধের বিষদ স্মৃতি গণকবরের উৎস বের করেছিলেন ফজলে রাব্বী। শামসুন্নাহার রাব্বী নিউজ করেছিলেন। যা বিবিসিতে প্রচার পেয়েছিল। চাচীর জীবনী লেখার চেষ্টা করছিনা। শামসুন্নাহার রাব্বী অনেক বড় মানুষ। চাচীর মা-খালারা তিন বোন, তিন ভাই। চাচীরা দুই বোন, তিন ভাই। তারাও লেখার বিষয়। তাদের নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। শতভাগ প্রগতিশীল কিন্তু কোনদিন কপাল থেকে ঘোমটা সরেনি।

 

অন্তত তিন দশক ফজলে রাব্বী, শামসুন্নাহার রাব্বী ছাড়া কুমিল্লায় কোন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম কল্পনাও করা যেত না। তাদের সঙ্গে আমার তেইশ বছরের স্মৃতি কি কম কথায় প্রকাশ করা সম্ভব? আজ চাচীকে স্মরণ করলাম মাত্র, চাচীর গোটা পরিবার নিয়ে, উল্লেখযোগ্য স্মৃতি নিয়ে আগামীতে লিখবো। চাচী হাজি-নামাজি-জাকাত প্রদানকারী। সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত ও অনেক বড় করেছেন। তারাও উন্নত জীবনযাপন করছেন। চাচা-চাচী নাতিনদের জন্য গৌরববোধ করতেন। আমার কাছে লেখা চাচীর চিঠিগুলো মূল্যবান। এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই। নতুবা উদ্ধৃতি দিতে পারতাম। আমার কাছে একজন বিশাল মানুষ শামসুননাহার রাব্বী। তিনি শায়িত হয়েছেন আমেরিকার নিউ জার্জির মার্লবোরো মুসলিম গোরস্থানে। তারপরও বলবো শামসুননাহার রাব্বীর মূল ঠিকানা কুমিল্লায়। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। দুহাত তুলে দোয়া করি। তিনি বেহেস্তবাসী হোন।

লেখক: সম্পাদক,সাপ্তাহিক অভিবাদন।