আমার পথচলার একবছর

আল-আমিন কিবরিয়া।।
আমোদ, নামটা আমার শুনলেই আমার কাছে এক অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করে। আমি আল-আমিন কিবরিয়া। দেশের প্রাচীন এই সাপ্তাহিক সংবাদপত্রটির প্রতিনিধি।
আমোদ ৭০ পেরিয়ে আজ ৭১ বছর পদার্পণে। আমি ও এই পত্রিকায় কাজ করি আজ একবছর। দেখতে দেখতে কি ভাবে যে একটা বছর কেটে গেল। এই কয়দিন কাজ করে বুঝেছি আমোদ একজন সংবাদকর্মীকে নিউজভিত্তিক কাজ শিখানো পাশাপাশি তৈরি করেন ভালো মানুষ।
পত্রিকাটির অনলাইন, মাল্টিমিডিয়া ও প্রিন্টে কাজ করার সুবাদে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে প্রান্তিক গ্রাম থেকে ইট পাথরের শহরের মানুষের সাথে। তুলে ধরছি মানুষের সুখ-দুঃখ, জনদুর্ভোগ ও প্রকৃতির কথা।
আমোদে যেদিন প্রথম যুক্ত হই, সে সময় আমি কুমিল্লা শহরে নতুন। মাস দুয়েক হলো শহরে আছি। তখন দেখতাম আমার সিনিয়র সহকর্মী শরীফ, সুফিয়ান, সুমন, মারুফ ও সজীব ভাই কাজ করেন আমোদে। তাদের চমৎকার শিরোনামের সব নিউজ। সবাইকে দেখে আমার ইচ্ছে ছিলো আমোদে কাজ করার।
২০২৪ সাল, এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার। সময়টা তখন বিকাল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা। সজীব ভাইয়ের কল! কিবরিয়া আমোদ অফিসে আছি। তুমি আসো। মারুফ ভাই আছে।
পুরাতন চৌধুরীপাড়ায়, তিন রাস্তার মোড়ে পুরাতন একটি ভবন। এখানে বড় করা লেখা আমোদ। ভবনটির ভিতরে গিয়ে দেখি মারুফ কম্পিউটারে ও সজীব ভাই মোবাইল ফোনে নিউজ তৈরিতে ব্যস্ত। পাশেই বসে ছিলেন মহিউদ্দিন মোল্লা ভাই। তিনি আমোদ-এর পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
মহিউদ্দিন মোল্লা ভাইকে সবাই মোল্লা ভাই নামে ডাকে। মারুফ ভাই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন মোল্লা ভাইয়ের সাথে। কথা বলার এক পর্যায়ে মোল্লা ভাই বললেন তুমি কাজ করবা আমোদ পত্রিকায়! তখন মনে হয় আমি স্বপ্ন দেখছি। শহরে নতুন অপরিচিত একটা ছেলেকে কোনো সম্পাদক যদি এমন অফার করে চমকে উঠারও কথা। সেই থেকে আমোদ‘র সাথে পথচলা।
লেখক:সংবাদকর্মী।

inside post
আরো পড়ুন