আশুগঞ্জে শয়নকক্ষে মিললো প্রভাষকের মরদেহ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মৃণাল কান্তি দাশ। পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক পদে কর্মরত মৃণাল কান্তি দাশের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হলো ভাড়া বাসায় নিজের শয়নকক্ষে। পুলিশ লাশ পাঠায় মর্গে। অথচ নিহতের স্ত্রী বলছেন, মৃণাল কান্তি দাশ ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন! 
শনিবার (৯ জানুয়ারি)সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরে আলমনগরে ভাড়া বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা পভাষক মৃণাল কান্তি দাশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মুতুরাপুর গ্রামের মৃত শান্তি রঞ্জন দাশের ছেলে। আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের সমাজ-বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না রানীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রভাষক মৃণাল কান্তি দাশ শুক্রবার রাতের খাবার না খেয়েই শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। শনিবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাড়ির কেয়ারটেকারসহ অন্যান্য লোকজনকে ডেকে আনা হয়। পরে বিষয়টি অবহিত করা হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাননিং মেশিন দিয়ে রুমের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। স্ত্রী স্বপ্না রাণীর দাবী, তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাদন্তের রির্পোট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।