ঈদগাহ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের ৬০ বছর শিরনিতে আপ্যায়ন
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
ছয় দশকেরও অধিক সময়। ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের শিরনিতে আপ্যায়ন করা হয়। ধনী-গরিব সবাই তা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরে ১৩০০ মানুষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদগাহ কমিটি জানিয়েছে, বংশ পরম্পরায় আসা এ ঐতিহ্য আমরা রক্ষা করবো।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের ওড্ডা গ্রাম। এ গ্রামে ১৭৮০ সালে নির্মিত
হয় মোগল আমলের তিন গম্বুজের নান্দনিক মসজিদ। যার পাশে বিশাল দিঘি ও প্রাচীন গম্বুজ বিশিষ্ট পাকা কবর। যার অদূরে ওড্ডা-নোয়াপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। উন্মুক্ত এ মাঠে তিন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদের সালাত আদায় করেন।
ওড্ডা-নোয়াপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ রানা মাসুদ বলেন, আমার দাদা
নোয়াব আলী ও তার বংশের লোকজন এ ঈদগাহের জমি ওয়াকফ্ করেছেন। সেটা ৬০ বছরের বেশি হবে।
তখন থেকে চালের শিরনির প্রচলন ছিল। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা একসাথে বসে কলা পাতায় চালের শিরনি খেতেন। গ্রামের মানুষের মধ্যে এখনও সে মিল মহব্বত আছে। এবছর ১৩শ’ মানুষের জন্য চাল আর সাগু দিয়ে তৈরি শিরনি দিয়ে আপ্যায়ন করেছি। এটা ব্যক্তিগতভাবে আমরা করে থাকি।
ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন আল-ক্বাদরী বলেন, আমি এ গ্রামের সন্তান। প্রায় ৩০ বছর এ মসজিদ-ঈদগাহের খেদমতে আছি। ঈদের দিন মিষ্টি খাওয়া সুন্নত। সে জন্য অতীতকাল থেকে এখানে কলা পাতায় চালের শিরনির প্রচলন হয়। এখন কলা পাতার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বক্সে তা বিতরণ হয়।
এটি ওড্ডা-নোয়াপাড়া ও পদুয়ারপার গ্রামের মানুষের এক ভালোবাসার বন্ধন।