‘‘উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’’

বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৫ হতে পারে
তরুণ প্রজন্ম উজ্জীবিত হওয়ার প্রেরণা

মোঃ মহসিন মিজি।।
আজ ১৬ অক্টোবর ২০২৫ বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো -‘‘হাত রেখে হাতে-উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’’ তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশ্ব খাদ্য দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) প্রতিষ্ঠার স্মরণে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর এ দিবসটি পালন করা হয়। আমাদের বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫০ টিরও অধিক দেশে প্রতি বছর দারিদ্র ও ক্ষুধার পেছনের সমস্যাগুলির প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৮১ সাল থেকে আলাদা প্রতিপাদ্য গ্রহণ করে প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হয়। ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালের প্রতিপাদ্য ছিল-‘‘খাদ্য প্রথম’’, ১৯৮৩ সালের প্রতিপাদ্য ছিল-‘‘খাদ্য সুরক্ষা’’, ১৯৮৪ সালে প্রতিপাদ্য ছিল-‘‘কৃষিতে নারী’’। এভাবে প্রতিবছর আলাদা আলাদাভাবে বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ২০২৫ সালের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্যের মূল উদ্দেশ্য হলো, একটি খাদ্য-নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সকলের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করা হয়। কৃষি উৎপাদন এবং বিতরণ ব্যবস্থাকে টেকসই করা, যাতে তা দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সাথে সাথে বর্তমানের চাহিদা মেটানো। বিশ্ব খাদ্য দিবসের গুরুত্ব হলো সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবারের অধিকার নিশ্চিত করা, ক্ষুধা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরে, যা একটি সুস্থ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।
গুরুত্বের বিবেচনায় বিশ্ব খাদ্য দিবসের উদ্দেশ্য হলো-এটি নিশ্চিত করে যে সবাই, বিশেষ করে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠী, খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা পায়। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা, দারিদ্র এবং অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব নেতাদের এবং জনসাধারণকে উৎসাহিত করে। এটি টেকসই কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে, যা পরিবেশের উপর কম প্রভাব ফেলে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। এটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি খাদ্য সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংঘাতের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
লেখক:উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা। ০১৭১২০২৪০৮১
E-mail: [email protected]