কসবায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঘনিয়ে আসছে ইউপি নির্বাচন। এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে একে-অপরকে ঘায়েলের খেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক ইউপি চেয়ারম্যান, মনোনয়ন প্রত্যাশী-যুবলীগ নেতাসহ কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান-আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, বিভিন্ন সরকারি অফিসে অভিযোগ ছাড়াও গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা পিতার নামে মালিকানা দাবী করে রেলওয়ের অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবী করলেন উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন।
রোববার (২ মে) দুপুরে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা রাবেয়া-মান্নান স্কুল মাঠে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথের আখাউড়া-কুমিল্লা পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বাগিয়ে নেয়ার কাল্পনিক অভিযোগ ওঠে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল মামুন ভুইয়া, যুবলীগ নেতা ও আগামী ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুন্নবী আজমলসহ কতিপয় ব্যক্তি আমাকে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্য করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এই বিল্লাল হোসেন বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসেন সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিগত নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করিনি। আগামী নির্বাচনে অংশ নেবার ঘোষণা দেবার পর থেকেই উক্ত মহলটি আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদাউস ভুইয়া, হেলাল উদ্দিন, সার্জেন্ট (অব.) আবদুল আলীম, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।