কুবিতে উপাচার্য ও ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডা

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে উপাচার্যের সাথে সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে উপাচার্য ছাত্রলীগ সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা ছাত্রলীগের চাকরি নেওয়ার জন্য আসছো, তোমরা কন্ট্রাক্টগুলো অফিসিয়ালি দিতে মানা করেছো, আমরা ইজিপিতে কন্ট্রাক্ট দিলে তোমার নাকি ছাত্রলীগের টাকা পয়সা আসে না, ঈদের সময় টাকার জন্য আসছিলা। পরে আমি তোমাদেরকে একটা কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম। এইসকল দাবি নিয়ে আসছিলা। এছাড়া অন্য কোন দাবি নিয়ে আসো নাই। প্রতিউত্তরে ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, স্যার আপনি বাসায় লোক নিয়োগ দেন সেটা বৈধ? আমি ছাত্রলীগের নিয়োগ চাই সেটা অবৈধ?
উপাচার্যের নিয়োগ-টেন্ডারের অভিযোগ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, উপাচার্য আসার পর থেকে এখনও কাউকে উনার দপ্তরে সহজে ঢুকতে দেয় না। সেখানে উনার থেকে কোন কাজ পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি গত তিন চার মাসে উপাচার্যের দপ্তরে দুই-তিন বারের বেশি যাইনি। তবে রমজানে ঈদের আগে একটা কাজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাস্তা খরচের জন্য উপাচার্য কিছু টাকা দিয়েছিল। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদকে একটা টেন্ডার দিছিল। এর বাইরে গত কয়েকমাসে উপাচার্যের কক্ষে আমি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে দু-তিনবার গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসার পর একজন ড্রাইভার এবং গত ৩০ জুন আরও তিনজনসহ মোট ৪ জনকে মাস্টার রোলে নিয়োগ দিয়েছে। যদিও উপাচার্য বলেছেন এভাবে নিয়োগ দেয়া অবৈধ।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, ছাত্রলীগ বলছে স্যার সব কাজের টেন্ডার তো আপনি ইজিপিতে দিয়ে দিচ্ছেন। ওরা বলেছিল স্যার আপনি ইজিপির বাইরে দেন তাই আমি তাদের দিয়ে দিয়েছি। আমি চাই না এখানে মারামারি হোক। তাদের যেকোনো ন্যায্য দাবি আমি মেনে নিয়েছি।