চৌদ্দগ্রামে নকল সরবরাহের মামলায় শিক্ষক- কর্মচারী কারাগারে
দাউদকান্দিতে কক্ষ পর্যবেক্ষককে লাঞ্ছিত করে শিক্ষার্থী
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবারাহের মামলায় শিক্ষক ও কর্মচারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন চৌদ্দগ্রামের ফেলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাদাত হোসেন ও উনকোট উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুখরঞ্জন দাস। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জে পি দেওয়ান।
ইউএনও জে পি দেওয়ান বলেন, রোববার এসএসসির গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশের মার্কেটে একটি চক্র গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করছে বলে জানতে পারি। ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে শাহাদাত হোসেন ও সুখরঞ্জন দাস নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাঁদের নিকট গণিত প্রশ্ন পাওয়া যায় এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে গণিত প্রশ্নপত্রের সমাধান শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করছিলো। তাঁদের হেফাজত থেকে দুটি স্মার্টফোন ও একটি গণিত গাইড বই জব্দ করি। আটকরা প্রশ্নপত্র সমাধান করে সরবারাহের কথা স্বীকার করেছেন। শাহাদাত হোসেন ও সুখরঞ্জন দাসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সচিবকে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশের একটি ভবন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছেন। আমরা আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছি।
অপরদিকে গণিত পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়ায় পরীক্ষা শেষে দাউদকান্দির পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কক্ষ পর্যবেক্ষক রতন কুমার দাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে সোমবার দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, শিক্ষক ও ছাত্রকে থেকে পাল্টা অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেছি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে। দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: নিজামুল করিম বলেন, চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দির দুইটি বিষয় শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।