কুমিল্লার মাঠে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

 

অফিস রিপোর্টার।।
বসুন্ধরা গ্রুপ স্বাধীনতা কাপে টাইব্রেকারে শেখ রাসেলকে হারিয়ে ৪-১ গোলে জয়ী হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সোমবার বিকালে লাল ঢেউয়ে ভেসে যায় নীল জার্সিধারীরা। এই বিজয়ে কিংসের দর্শকদের পতাকা হাতে গ্যালারি মাতাতে দেখা গেছে। দুই দলের গোল পাল্টা গোলের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। ঠিক ফাইনালের আমেজ উপভোগ করে দর্শকরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে সমতায় থেকে। অতিরিক্ত সময়েও স্কোর অপরিবর্তিত থাকে। টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে জয়ী হয় বসুন্ধরা কিংস। জয়ের পর বাদ্যের তালে তালে উৎসব করে সমর্থকরা। নগরীর ধর্মসাগরপাড়ের স্টেডিয়াম উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠে।

 

বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত,পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেনসহ বাফুফে কর্মকর্তারা।
ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন বসুন্ধরার গোল কিপার জিকু। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন একই দলের গোমেজ। তিনি ৯ গোল করেন। টুর্নামেন্টের সেরা খেলেয়াড় হন বসুন্ধরা কিংসের রাকিব হোসেন।
খেলার প্রথম মিনিটে গোল করেন বসুন্ধরার খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল ফিগেরা। ১২ মিনিটে শেখ রাসেল সমতা ফেরায়। উদো গোলমুখের সামনে থেকে স্কোর ১-১ করেন। ৩০ মিনিটে গোলের জন্য বক্সে ঢুকে পড়া বাপুকোকে ফাউল করেন তারেক কাজী। পেনাল্টি দেন রেফারি। ৩১ মিনিটে চার্লস দিদিয়ের উঁচু শট জালে জড়ায়। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।

-ছবি: ইলিয়াছ হোসাইন।
৪৩ মিনিটে রবসন রবিনহো বক্সের মধ্যে ঢুকলে ইয়াসিন খান তাকে ফাউল করেন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে রবিনহো গোল করে সমতা ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ২-২ এ শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা। অতিরিক্ত সময়ে দুই দল স্কোর পাল্টাতে পারেনি। ম্যাচ দাঁড়ায় দুই গোলরক্ষক রানা ও আনিসুর রহমান জিকোর লড়াইয়ে।
উল্লেখ্য-২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংস শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চার বছর পর আবারও ফাইনালে দুই দল। এবারও সাফল্য পেলো বসুন্ধরা। প্রতিশোধ নিতে পারলো না শেখ রাসেল।
এনিয়ে টানা তিন ফাইনাল খেলে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হলো বসুন্ধরা।