কুমিল্লায় পশুর চাহিদা দুই লাখ ৩৪ হাজার,মজুদ আড়াই হাজার কম

মাহফুজ নান্টু।।
কুড়ি বাইশ দিন পর উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। এ বছর কুমিল্লা জেলায় দুই লাখ ৩৪ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে জেলায় পশু মজুদ রয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার পশু।
কুমিল্লা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুমিল্লা জেলায় অন্তত দুই লাখ ৩৪ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে জেলায় পশু মজুদ রয়েছে দুই লাখ ৩১ হাজার ৬২৮টি পশু।
কুমিল্লা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা জেলায় খামারী ও গৃহস্থদের কাছে পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে। চাহিদার তুলনায় অন্তত আড়াই হাজার পশু কম রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এই কম সংখ্যক পশুর ঘাটতির জন্য কোরবানিতে সমস্যা হবে না। কারণ অন্যান্য জেলা সদর থেকে বাহনে করে প্রতি বছরই পশু কুমিল্লা জেলায় আসে। সেভাবেই পশুর ঘাটতি চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
এদিকে করোনার কারণে এ বছর অনলাইনে বেশীর ভাগ পশু বিক্রি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যেগে একটি এ্যাপস চালু করবেন।
হাটে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। তাই কুমিল্লার খামারীরা এ বছর অনলাইনে পশু বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলার অন্যতম বড় খামারী দাউদকান্দির মা-ফরিদা ডেইরি এ্যান্ড এগ্রো এর স্বত্বাধিকারী মাহতাব পিংকু জানান, এ বছর তার খামারে ১৪৯ টি কোরবানির জন্য গরু পালন করেছেন। এখন পর্যন্ত ৪৯ টি পশু ক্রেতারা অনলাইনে কিনে নিয়েছেন। সঠিক মূল্য এবং ঝামেলা ছাড়াই বিনা খরচে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।