প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ


গত শনিবার (৫-৭-২০২৫) আমাকে(মো: মেহেদী হাসান) নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া যে সংবাদ ছাপা হয় তার পুরাটাই ছিল মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজানো। গুপ্ত সংগঠন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ( যেটা আমাদের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়) সামনে এনে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজিয়ে আমার রাজনৈতিক ট্যাগ জড়িয়ে আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই নিউজ করান। এর পিছনে ছিল তাদের বৃহৎ স্বার্থ। প্রশাসনকে চাপে রেখে তারা চলমান নিয়োগে গুপ্ত সংগঠনের সাথী ও তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়োগ দিচ্ছে। আমি জানতে পারি এবং এর বিরোধিতা করায় তারা আমাকে এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের কিছু সাংবাদিক দিয়ে নিউজ করায়।
এখানে বলা হয় আমি নাকি নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেখানে আমাদের নিজেদের চাকরি হয়না সেখানে এমন তথ্য ভিত্তিহীন ছাড়া কিছুই না। তারা আরো উল্লেখ করেন কুবির অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সাথে আমার নাকি যোগসূত্র আছে। এটাও ভিত্তিহীন ৷ কারণ আমার শিক্ষাজীবন শেষে এখন পর্যন্ত কারো সাথে আমার যোগাযোগ নেই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন একজন, তিনি বলেন চৌদ্দগ্রামের দিক নির্দেশনায় কুবিতে সকল নিয়োগ হচ্ছে। এই কথার দুইজন সাক্ষী আছে। সাবেক শিবির নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিয়োগ পান। যার মেধা তালিকা ছিল ১৮। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটা নির্দিষ্ট দলকে সুযোগ করে দিয়ে বৈষম্য তৈরি করে আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করছে তারা। যে বৈষম্য দূর করতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, আর তারা হাটছে আওয়ামী স্বৈরাচারের পথে।
কেউ কেউ রেজিস্ট্রার অফিস থেকে চাকরি পাওয়ার খবর শোনার ৪-৫ ঘন্টা আগেই আগের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেয়, আর আমরা অন্য প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও জানতে পারিনা আদো কি আমরা উত্তীর্ণ হয়েছিলাম কিনা। কারণ কুবি প্রশাসন কেবল তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ফোন কল করতেন পরবর্তী ধাপের জন্য যা আওয়ামী সময়ের তদ্রুপ। এই প্রশাসনের অনুকূলে কোন নিয়োগই স্বচ্ছ হবে না।
মূলত আমি এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করায় এবং তাদের এই অপকর্ম জানতে পারায় আমাকে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার করা হয়েছে।