কুমিল্লায় যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যা,সেলুনে বস্তায় রাখা হয় লাশ
আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় একটি সেলুনে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সেলুনের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত দেলোয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জাহের আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ভাঙ্গাড়ি (পরিত্যক্ত লোহালক্কড় বা স্ক্র্যাপ) ব্যবাসায়ী ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই সেলুনের মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীল পলাতক রয়েছে। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনও বন্ধ রয়েছে। কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার সেনা মিলনায়তন মার্কেটে লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে তার সেলুন দোকান রয়েছে। লক্ষ্মণ কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.সোহান সরকার।
তিনি বলেন, দেলোয়ারকে গলা ও পা কেটে হত্যার পর বস্তার ভেতর লাশ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, দোকানের মালিক লক্ষণের সাথে নিহত দোলোয়ারের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে ঘটনার পর থেকে লক্ষণ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, ময়নামতি ফরিজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন নিহত দেলোয়ার। তিনি পেশায় একজন ভাঙ্গাড়ি ব্যবাসায়ী । বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় আনুমানিক ১১টার দিকে স্ত্রী তাকে কল দিলে দেলোয়ার জানায়, সে লক্ষণের সেলুন দোকানে আছে। একটু পর বাসায় ফিরবে।
কিন্তু সেদিন রাত ১ টায় ফের কল দিলে তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় । শুক্রবার সকালে কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরবর্তীতে পরিবারের সন্দেহ হলে তারা শুক্রবার রাতে সেলুন দোকানের তালা ভেঙে দেখেন বস্তার ভেতর দেলোয়ারের রক্তাক্ত লাশ। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে পুলিশের পাশাপাশি খবর পেয়ে সিআইডি, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।