কুমিল্লায় সূর্যমুখীর মাঠ এখন বিনোদন কেন্দ্র!
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় সূর্যমুখীর ফুলের মাঠ এখন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। মাঠের পাশে লোকজন পরিবার, বন্ধুসহ ভিড় করছেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ভিড় থাকে। সূর্যমুখীর জমি পেছনে রেখে অনেকে ছবি ও সেলফি তোলেন। কোথাও চটপটি, বাদাম, চা’সহ নানা খাবারের পসরা নিয়ে বসেন হকাররা। মাঠের পাশে থাকে রিক্সা, সিএনজি অটো রিক্সা ও মোটর সাইকেলের বহর। এদিকে জমির কৃষককে ওই সময়ে সতর্ক থাকতে হয়। অতি উৎসাহী লোকজন জমিতে প্রবেশ করে ছবি তুলতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে। কেউ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। এম দৃশ্য চোখে পড়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ,দেবিদ্বার,লালমাই,তিতাস,হোমনা,চান্দিনাসহ বিভিন্ন উপজেলায়।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম উত্তর রামপুর। গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল করিম। ১১০শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তিনি বলেন,কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ সহযোগিতা পেয়েছেন। ভালো ফসল হয়েছে। এখন ফসল ঘরে তোলার পালা। সূর্যমুখী চাষে কারণে এলাকায় তার পরিচিত বেড়েছে। আশা করছেন ফসল থেকে ভালো লাভ পাবেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, সূর্যমুখী থেকে তেল,পাখি ও গবাদি পশুর খাদ্য এবং রান্নার জ্বালানি পাওয়া যায়। এখানে কয়েকজন কৃষক সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তাদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করছেন সামনের মৌসুমে আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হবে।
দেবিদ্বারের গুণাইঘরে সূর্যমুখীর জমি দেখতে আসা দর্শনার্থী জিএম ফারুক বললেন, আমাদের কাছাকাছি বিনোদনের বড় কোন স্থান নেই। সূর্যমুখীর জমিকে ঘিরে চিত্ত বিনোদনের কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় চাষি আবু তাহের বলেন, গুণাইঘর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি পাহারায় থাকেন। সারা দিন সূর্যমুখী ফসল দেখতে এবং ছবি তুলতে শত শত মানুষ এখানে ভিড় করেন। দিনভর পাহারায় থাকলেও আনন্দও লাগে। কারণ তার এ সূর্যমুখী খেত দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন। এখানে চটপটি, বাদাম, চা’সহ নানা খাবারের পসরা নিয়ে বসেন হকাররা।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শহীদুল হক জানান, কুমিল্লায় ১২৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। সুর্যমূখী ভোজ্য তেল হিসেবে স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। তাই আমরা সার,বীজসহ পরামর্শ দিয়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি।