কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লির প্রত্যাশা

 

যেভাবে গড়ে উঠে শতবর্ষী ঈদগাহ
অফিস রিপোর্টার ।।
প্রায় শতবর্ষী কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি সমাগমের প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্টজনরা। এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহের ইতিহাস জানা নেই কারো। ধারণা করা হয়, মোগল শাসিত এ অঞ্চলের বৃহৎ ঈদগাহের বয়স প্রায় শতবছর। এবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু বলেন, ১৯৬৪ সালে ঈদগাহের পাশে একটি বাসায় থাকতাম। তখন ছয়টি কাতার পাকা ছিলো। পেছনের অংশে ঘাস ছিলো। দেয়াল ছিলো ঢেউ ঢেউ। যার উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হবে। তখন ঈদগাহ জিলা কাউন্সিল (বর্তমান জেলা পরিষদ) সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনা করতো। পরবর্তী সময়ে ঈদগাহ কুমিল্লা পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় যায়।


কুমিল্লা ঈদগাহ কমিটির উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন.১৯৬২সাল থেকে এই ঈদগাহে নামাজ পড়ি। ঈদ-উল ফিতরে বেশি মুসল্লির সমাগম হয়। ২৫-৩০হাজারের মতো মুসল্লির সমাগম হয়।  দিন দিন এখানের মুসল্লি সংখ্যা বাড়ছে।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, প্রাচীন সংবাদপত্র আমোদ সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর মুখে শোনা,বৃটিশ আমলের শেষ দিকে ঈদগাহ গড়ে উঠে। ত্রিপুরার রাজার কাছে মুসলিম প্রজাদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদগাহে জমি দেয়া হয়।
ঈদগাহের ইমাম ও খতিব মুফতি কাজী ইব্রাহীম বলেন, ঈদের জামাতের ইমামের দায়িত্ব পালন করছি ২৩বছর। পূর্বে আমার বাবা মাওলানা ইসহাক সাহেব ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার আগে দৌলুতপুরের হাফেজ সাহেব একযুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দুই-তিনজন বিভিন্ন ঈদে অনিয়মিত ঈদের ইমামতি করেছেন।