কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে অবরুদ্ধ আইজিপি ও র‌্যাব মহাপরিচালক

 

প্রতিনিধি।।
বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে না যাওয়ার অভিযোগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম ও র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমানকে কুমিল্লায় অবরুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।


শিক্ষার্থীদের দাবি এখানে কোন বন্যার্ত ছিল না। ফটো সেশনের জন্যই এমন ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। আইজিপি এবং র‌্যাব মহাপরিচালককে বন্যার কেন্দ্রস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের বলতে শোনা যায়, আমরা এখানে আজকে তিন দিন কাজ করছি, একজন পুলিশ আসছে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে? এখানে আশ্রয় নেওয়া বাচ্চাগুলো চিকিৎসা পায় না। যাদের ত্রাণ দিতে এসেছেন, তারা কি বন্যার্ত? তাদের অনেককে জিজ্ঞেস করেছি, কেউ এসেছে নগরীর ধর্মপুর থেকে, কেউ এসেছে চর্থা থেকে। ওইদিকে কি বন্যা আছে? তারা এই সময় ত্রাণ বিতরণে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে সেই দাবি জানান।

এসময় আইজিপি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা দেশের জন্য অনেক কাজ করছেন। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। ভালো সমন্বয় না হওয়ার কারণে এখানে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। আমাদের পুলিশ র‌্যাব প্রান্তিক জনপদে গিয়ে কাজ করছেন। আপনাদের যেকোন ভালো উদ্যোগকে আমরা পেছন থেকে সহায়তা করবো। এসময় কুমিল্লার পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমানও কথা বলেন।
পরে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার একটি পিকআপ ভ্যান পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হয়। এছাড়া নৌকাসহ বিভিন্ন উপকরণ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য- বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে হেলিকপ্টার যোগে কুমিল্লায় আসেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ও র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান। হেলিকপ্টারে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন তারা। পরে কুমিল্লা জিলা স্কুলে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যান। ত্রাণ বিতরণের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হৈচৈ শুরু করলে আইজিপি মঞ্চে না উঠে কয়েকজন বানভাসি মানুষকে ত্রাণ দিয়ে গাড়িতে উঠে যান। বেরিয়ে যাওয়ার পথে জিলা স্কুলের মূল ফটক বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।