কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩শতাধিক ছাত্র-জনতা

হাসিবুল ইসলাম সজিব।।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ(কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ৩২২জন ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩২২জন আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। মোট ভর্তি হয়েছে ২৭৭জন। ছাত্র ২২২জন, চাকরিজীবী ২৬জন এবং বিভিন্ন পেশার ছিলেন ২৯জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭জনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন। মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে দু’জনকে। এর মধ্যে ০১জন ছিলেন পুলিশ সদস্য, অন্য একজন ছাত্র। বর্তমানে ০১ জন এখনো ক্যাজুয়ালটি বিভাগের ০৪ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের কর্তব্যরত নার্সরা জানান, ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের সকল ছুটি বাতিল করা হয়। আহতের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ডিউটিতে করতে হয়েছে। তাতেও আমরা খুশি। আহতদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারায়।

ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডাঃ আবু জাফর মোঃ সালেহ্ জানান, আন্দোলনের সময় মেডিকেলে আসা সকল রোগীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করেছি। বর্তমানে যে ছাত্রটি চিকিৎসাধীন রয়েছে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল কিছু হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বহন করছে।
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, আন্দোলনের সময় আমরা খুব সর্তকতার সাথে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছি। আমাদের কাছে সবাই সমান ছিলো। আমরা ছাত্রদেরকে রেখেছি এক ওয়ার্ডে এবং পুলিশ সদস্যদের রেখেছি অন্য ওয়ার্ডে। যেন কারোই  চিকিৎসা সেবায় কমতি এবং ঝামেলা সৃষ্টি না হয়। প্রতি শিফটে আমাদের ৪০ জন ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরা কাজ করে গেছেন। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সব আমরা সরবরাহ করেছি। কখনো আমাদের কাছে কমতি থাকলে বাইরের ঔষধ দোকান থেকে কিনে রোগীদের দিয়েছি।