গাড়ির ‘কেস স্লিপ’ হারিয়ে গেলে সাথেসাথে যা করবেন?

আমোদ ডেস্ক।।

ট্রাফিক আইন অমান্য করায় জরিমানার শিকার হতে হয় অনেককে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কেস স্লিপ’। যা দেখিয়ে নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মামলা থেকে অব্যহতি নিতে হয়।

অনেক সময় হারিয়ে যায় জরিমানার এই ‘কেস স্লিপ’। যা নিয়ে ভুক্তভোগীদের দু:শ্চিন্তার যেন শেষ নেই।

 

কেস স্লিপ হারিয়ে গেলে করনীয়:

১। জিডি (সাধারন ডায়েরী) করা- সবার প্রথমে আপনাকে থানায় যেতে হবে এবং জিডি করতে হবে। নিকটস্থ থানায় গিয়ে গাড়ীর নাম্বার উল্লেখপূর্বক কেস স্লিপ হারানোর বর্ননা দিয়ে জিডি (সাধারন ডায়েরী) করবেন।

অনেকের কাছে মনে হতে পারে এটা খুব ঝামেলার কাজ, কিন্তু এমনটা আসলে না। আপনি থানায় গেলে পুলিশের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন।

২। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে রাখা- এই কাজগুলো করতে গেলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিবেন। কারন এটি আপনার ভেরিফিকেশনের জন্য কাজে লাগবে। যদি সম্ভব হয় নিজের অরজিনাল জাতীয় পরিচয়পত্র টি সাথে রাখুন।

৩. সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে যাওয়া- প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার বাইকের কাগজ কোন জোনের ট্রাফিক অফিসে আছে। ট্রাফিক অফিস সনাক্তেরপর সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে জিডি কপি ও পরিচয়পত্রের কপি দিয়ে জানিয়ে দিন আপনার কেস স্লিপ হারিয়ে গেছে।

৪. ট্রাফিক অফিস আপনার গাড়ির মামলার তথ্য যাচাই করবে।

৫। জরিমানার পরিমাণ জানিয়ে দেয়া- তথ্য যাচাই শেষ হয়ে গেলে ট্রাফিক অফিস মামলার আইডি ও জরিমানার পরিমাণ আপনাকে জানিয়ে দেবে। আপনার যদি এটা নিয়ে অন্য কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন।

৬। জরিমানা পরিশোধ- আপনি ইউক্যাশে জরিমানা পরিশোধ করে আসলে জিডি ও পরিচয়পত্রের কপি জমা দিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি পেয়ে যাবেন।

 

যে কোন গাড়ির পেছনে বা সামনে থাকে নানা রকমের নাম্বার প্লেট। যেখানে থাকে জেলার নাম, নাম্বারসহ আরো একটি বর্ণ। এই বর্ণে কি তথ্য রয়েছে তা কী জানেন?

বিআরটিএ এর অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বার প্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে। যানবাহনগুলোর নাম্বার প্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- ‘শহরের নাম, গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার’।

যেমন- ঢাকা মেট্রো য-১১২৫৯৯। এখানে ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন। ‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ।

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী ‘১১’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘২৫৯৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।