গোমতী নদীর মাটি-বালু অবৈধভাবে উত্তোলনের অভিযোগ
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার গোমতী নদীর আদর্শ সদর উপজেলা এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নদীর বাঁধসংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। শনিবার কুমিল্লা নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নদীর পাঁচটি বালু মহালের ইজারাদার মাহাবুবুর রহমান।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন গোমতী নদীর বালু মহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মাহাবুবুর রহমানের মেসার্স এম. রহমানসহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এতে এক কোটি ৫০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় মেসার্স এম. রহমান প্রতিষ্ঠানটি নদীর পাঁচটি বালু মহালের ইজারা পায়। জেলা প্রশাসন সাইনবোর্ড টানিয়ে মেসার্স এম. রহমান প্রতিষ্ঠানকে পাঁচটি বালু মহালের দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর আগের ইজারাদার মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশনের লোকজন নদীর অন্তত ১৩টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ইতিপূর্বে প্রশাসন থেকে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সরঞ্জামাদি ভেঙ্গে ফেলা হলেও পুনরায় বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে নদীর বাঁধ ও ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি এসব বালু ও বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করাসহ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন, মাসুদুর রহমান, মোশারফ হোসেন শামীম, রাশেদ মিনহাজ, জাহেদুল আলম, আলী আক্কাছ, মো. সেলিম, শাহরিয়ার মাহমুদ ও মনিরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের বলেন,করোনার কারণে আগে তোলা বালু বিক্রি করতে পারেননি। সেগুলো এখন বিক্রি করছেন। নদী থেকে তিনি নতুন করে কোনো বালু তুলছেন না। তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর বলেন, আমরা ইজারাদার মাহবুবুর রহমানকে তার ইজারার স্থানসমূহ বুঝিয়ে দিয়েছি। অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।