গোল্ড ম্যাডেল পাচ্ছেন ভিক্টোরিয়া কলেজের তনয়া খানম

আবদুল্লাহ আল মারুফ:

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড ২০২০। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের তনয়া খানম একজন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হবে। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সনদ ও গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই কলেজে নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ স্কোরধারীই ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচিত হবেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, তনয়া খানম, কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৩-১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তনয়া খানম মুরাদনগরের বাঙ্গরা এলাকায় বসবাস করেন।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত তনয়া জানান, এসএসসি ২০১১ ও এইচএসসি ২০১৩ সালে উত্তীর্ণ হওয়া তনয়া শিক্ষাজীবনের কোথাও প্রথম স্থান অর্জন করতে পারেননি। অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক বাবার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে তনয়া চতুর্থ। বড় ভাই মাছের খাদ্যের ব্যবসায়ী আর এর পরের দুই বোন বিবাহিত আর তনয়ার ছোট ভাই কুমিল্লার অজিত গুহ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ইচ্ছা ছিল প্রাণিবিদ্যা নিয়ে পড়ার। কেননা তার বড় বোন যিনি বর্তমানে মুরাদনগরের পান্ডুগড় শামছুদ্দিন আহমেদ ভূইয়া কলেজের বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক তিনি তনয়ার কলেজের তনয়ার বিভাগেরই শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে স্বর্ণপদক পাবে সেটা কখনও ভাবেওনি তনয়া।

তনয়া আরও জানান, আমার ভিষণ আনন্দ হচ্ছিল, যখন আমার হলের রুমের ছোট বোন নীলা রাণী দেবনাথ আমাকে কল দিয়ে বলেছিল আমি ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এ নির্বাচিত হয়েছি। সে আমাকে নোটিশটিও পাঠায়। কিন্তু আমি যেন আমার চোখকেই বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। এখন মনে হচ্ছে সত্যিই আমি পেরেছি।

তনয়া কোন ক্লাসে প্রথম না হয়েও কিভাবে স্বর্ণ পদক জিতলো এই প্রশ্নের উত্তরে তনয়া জানান, আমি কখনোই কোন গাইড কিনিনাই। শুধু বই থেকে পড়েছি। আমার কোন বিষয়ে জানার থাকলে শিক্ষকরা আমাকে সাহায্য করতো। আর বড় বোন এই বিভাগের হওয়াতে সার্বক্ষণিক সাহায্য পেয়েছি। আর আমি পুরো চার বছরে মনে হয়না দু’টির বেশি ক্লাস মিস দিয়েছি৷ নিয়মিত ক্লাস করার কারণে হয়ত এটা আমার হয়েছে।

তনয়া খানম, কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৩-১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, তনয়া কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী। ওর বড় বোনও মেধাবী ছিল। আমরা সামনে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করি।

কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.  আবু জাফর খান বলেন, আমরা আনন্দিত তবে সামনে আরও বড় কিছু আসবে। কলেজের সম্মান আরও সু-উচ্চ থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ রুহুল আমিন ভূইয়া জানান, আমরা খুবই আনন্দিত। তনয়া পুরো দেশের কাছে ভিক্টোরিয়া কলেজকে তুলে ধরেছে। আশাবাদী সামনে এই কলেজ আরও এগিয়ে যাবে৷