গোয়ালঘরের খড়ের গাদার নিচে মাজার খাদেমের মরদেহ

প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লতিফ শিকদার গ্রামে মাজারের খাদেম রেজাউল করিমের (৬০) অর্ধগলিত মরদেহ গোয়ালঘরের খড়ের গাদার নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের লতিফ শিকদার গ্রামের মৌলভী জমিরুদ্দিন পীরের বাড়িতে। বুধবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে মাজারের লাইট বন্ধ করার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন রেজাউল। এরপর আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পর মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাশের বাড়ির এক মহিলা গোয়ালঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে রেজাউল করিমের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের সদস্যরা গোয়ালঘরের তালা খুলে খড়ের গাদার নিচে রেজাউল করিমের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রেজাউল করিমের বোন রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিল। তিনি মাজারের খাদেম ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী রেজাউল করিম একজন মানসিক রোগী। পারিবারিক যে কোন বিষয় নিয়ে সে সবসময় আমাকে মারধর করতো। তার মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
চিওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি শুনেছি। আশা করছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন রেজাউল করিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে।