চারদিনেও গ্রেফতার হয়নি অস্ত্রধারীরা, মামলা নেয়নি পুলিশ

আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে টানা তিনদিন অস্ত্রের মহড়া হয়েছে। এই ঘটনার চারদিনেও কোন অস্ত্রধারী গ্রেফতার হয়নি। এদিকে অভিযোগ দেয়ার তিনদিনেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়,আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেল ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেলের চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, তারা দলবল নিয়ে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও তা তিনদিনেও মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
থানা থেকে বলা হয়েছিল একদিন পর মামলা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানাবে। কিন্তু তিনদিন অতিবাহিত হতে চললেও কোতোয়ালি থানা থেকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। বুধবার সকাল থেকেই জোর করে প্রতিপক্ষ স্থানীয় মানুষ থেকে গণস্বাক্ষর নিচ্ছে। বলা হচ্ছে, সোহেলকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে অভিযোগ দায়ের করবে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু হানিফ সরকার বলেন, মামলার বিষয়টি নিয়ে ওসি স্যার বলতে পারবেন। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
র‌্যাব কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এদিকে র‌্যাবের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে,এঘটনার বিষয়ে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আবদুল হান্নান সোহেল ও ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে রবিবার ধর্মপুরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এমন একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোমবার ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রবিবার রাস্তায় বন্দুক হাতে মহড়া দিচ্ছেন দুইজন। স্থানীয়রা তাদেরকে রুবেল ও চপল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া সিসিটিভির ক্যামেরা ভাঙতে দেখা যায় জনিকে। রবিবার প্রায় সাতঘণ্টা অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রুপের বিরোধে বিকাল সন্ধ্যায় আরও দুই দফা হামলা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ওই এলাকায় অবস্থিত ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখায়। এ ঘটনায় সোমবার এবং মঙ্গলবার ওই এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেয়া হয়। এছাড়া পুকুরের মাছ ও ঘরের ছাগল লুট করা হয়।