ছাত্রলীগের তিন সদস্যের কমিটির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ!

 

inside post

অফিস রিপোর্টার।
কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের আওতাধীন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন অপু, সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিন হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাধব চন্দ্র বৈষ্ণব। ঘোষিত এই ৩ জনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের নিকট অভিযোগ পাঠিয়েছেন উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, সভাপতি প্রবাসী ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদল থেকে এসেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মাদকের সাথে জড়িত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সদর দক্ষিণ উপজেলার নবগঠিত কমিটির ৩ জনের মধ্যে অপু পারিবারিকভাবে বিদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকে তিনি তিন বছর থেকে দেশে এসে সভাপতির পদ পেয়েছেন। তিনি বিয়েও করেছেন। সাধারণ সম্পাদক তুহিন ছাত্রদল করতেন। তিনিও বিদেশ থেকে দেশে এসে পদ পেয়েছেন। তার কোন ছাত্রত্ব নেই। বিএনপির চেয়ারপার্সনের এক উপদেষ্টাকে তার ফুল দিয়ে বরণ করার ছবি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। সাংগঠনিক সম্পাদক মাধব চন্দ্র বৈষ্ণবের মাদক সেবনের ছবিও ফেসবুকে ঘুরছে।

নবগঠিত এই কমিটির বিষয়ে বিজয়পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আনিছুর রহমান লিটন বলেন, এই কমিটি অবৈধ। সভাপতি বিবাহিত। তার সন্তান আছে। সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত ও ছাত্রত্ব নেই। তিনি ছাত্রদল করতেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টার অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলার নব কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন অপু বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। কারো কাছে প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি অষ্টম শ্রেণী পড়া অবস্থা থেকে ছাত্রলীগে কাজ শুরু করেছি। আমি বিদেশে গিয়েছি, তবে আমার বোন জামাতার কাছে। আমি কোন চাকরি করিনি। আমি বিয়ে করলে তাদেরকে প্রমাণ দেখাতে বলেন। মূলত পদ পাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন বলেন, বিএনপির সাবেক এমপির সাথে যে ছবি সেটি অনেক আগের। আমি তখন স্কুল ছাত্র ছিলাম। আমি এখনও একজন ছাত্র।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু তৈয়ব অপি বলেন, নব গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত নয়। আমরা স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে দেখেছি। তারা দুইজনই ছাত্র। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক যেহেতু অন্য ধর্মের। তারা মাদকের সাথে কোনভাবে জড়িত থাকতে পারে। যারা পদ পায়নি তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন