ছাত্র ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার অভিযোগ

প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে। হামলার সময় ইট পাটকেল ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার নগরীর নজরুল এভিনিউ থেকে রানীর বাজার সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, স্কুল শিক্ষক আদিত্য দাস, সুনীল দাস ও তন্ময় দাসসহ অন্যান্যরা। তারা সবাই ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।


বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস বকসী জানান, কুমিল্লাসহ বিভিন্নস্থানে পূজার প্রাক্কালে পূজা নিয়ে কটাক্ষ, মন্দির হামলা ও বিগ্রহ ভাঙচুরের প্রতিবাদে আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিল কর ভবনের কাছ পর্যন্ত এলে পুলিশ বলে আমরা যেন ফিরে যাই। আমরা ফিরে যাচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের ওপর পেছন থেকে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।


এদিকে বিকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে নগরীর একটি মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এতে ঐক্য পরিষদ কুমিল্লার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, বৃহস্পতিবার সদরের এমপি বাহার সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন, বিক্ষোভ মিছিল নামলে প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। ওই মিছিলে ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ,আবদুল হাই বাবলুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।
সরেজমিন দেখা যায়, পশ্চিম দিক থেকে ছাত্র ঐক্যের মিছিল এসে করভবনের সামনে এসে পুলিশের বাধা পেয়ে থামে। এসময় পূর্ব দিক থেকে এমপি বাহারের সমর্থকরা তার নামে শ্লোগান দিতে দিতে আসে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন ও কোতয়ালী থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ তাদের বাধা দেন। তারা বাধা উপেক্ষা করে ছাত্র ঐক্যের মিছিলকে ধাওয়া করে। তাদের ছোড়া ইটে কয়েকজন আহত হয়। এসময় পথচারীদের ভিডিও করতে দেখে কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে গোমতী হাসপাতাল,ফরিদা বিদ্যায়তন এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানিরা শার্টার বন্ধ করে দেন।


এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদকে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
এ ঘটনার পর আহতদের দেখতে যান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় আহতদের দেখতে পুলিশ সুপারসহ তাদের বাসায় গিয়েছি। এ সময় তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।