ছোট হয়ে আসছে ইন্ধনদাতাদের তালিকা

 

 

কুমিল্লার পূজা মন্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি কুমিল্লা। ইতিমধ্যে তদন্তও বেশ গুছিয়ে আনা হয়েছে। ছোট হয়ে আসছে ইন্ধনদাতাদের তালিকাও। এখন চলছে ক্রস চেক। সোমবার কুমিল্লা সিআইডির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ সকল বিষয় নিয়ে সিআইডি কুমিল্লার এসপি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, আমরা কোন একটি বিষয়কেও হালকা ভাবে নিচ্ছি না। সকল বিষয় গুলো মাথায় রেখেই আমরা আমাদের তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছি। তাদের সকল গতিবিধি গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে।
তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে শুরু করে তারা যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারে তার জন্য দেশের প্রতিটি সীমান্তেই কড়া সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক বিষয়ই আমরা শেষে পথে আছি। আশা করি দ্রুত আপনাদের সব কিছু জানাতে পারব। কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে কোন ভাবেই হয়রানির শিকার না হয় একই সাথে প্রকৃত অপরাধী যেন আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বের না হয়ে যায় সেই বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।
এদিকে ধর্মীয় অবমাননা মামলায় ইকবালসহ চার আসামির দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের মেয়াদ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। সিআইডি কুমিল্লার এসপি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানিয়েছেন, আমাদের এই তদন্তকাজে যারা জড়িত আমরা সবার সাথে বসে সব কিছু পুংখানুভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব তৃতীয় দফা তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করব কিনা। এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। যেগুলো আমরা যাচাই বাছাই করে দেখছি। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই তৃতীয় দফা রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
উল্লখ্য-গত ১৩ অক্টাবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনার পরদিন কুমিল্লা কোতায়ালি মডেল থানার এস আই হারুনুর রশীদ বাদী হয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এতাদিন মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার এস আই মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীত মামলাটি সিাইডির কাছ হস্তান্তর করা হয়। এ মামলা এখন পর্যন্ত চারজনক প্রথম দফায় সাতদিন ও গত শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রিমান্ড থাকা আসামিরা হলেন, ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন কবির ,ফয়সাল আহমদ এবং ইকরাম হোসেন।