জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শামসুল হকের প্রয়াণ

আমোদ প্রতিনিধি।।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এটিএম শামসুল হক বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে রেখে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম।
আতাউর রহমান জসিম জানান, শামসুল হক সাহবের প্রথম জানাজা বাদ জোহর ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা বিকেল ৬টায় কুমিল্লা ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও তৃতীয় জানাজা বাদ মাগরিব মরহুমের নিজ বাড়ি কুমিল্লার শিমপুরে অনুষ্ঠিত হবে।

এটিএম শামসুল হক কুমিল্লার সদর উপজেলার শিমপুর গ্রাম জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এমএ, এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া ও যুক্তরাজ্যের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।  প্রাক্তন সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) এর সদস্য হিসেবে এটিএম শামসুল হক বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি আট বছর আন্তঃসরকারি প্রতিষ্ঠান এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র সিরডাপ-এর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এই ছাড়াও কেবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বছর বাংলাদেশ সরকারের পার্কের (পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফরম কমিশন) চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে কুমিল্লা সদর আসনে সংসদ সদস্য পদে দুইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নিজ গ্রাম শিমপুরে তার বাবার নামে স্থাপন করেন আনসার আলী ভকেশনাল ট্রেনিং ইনন্সিটিউট। কুমিল্লা শহরের মুন্সেফ কোয়ার্টারে নিজেদের প্রায় ১২৫ শতক জায়গা দান করেন মায়ের নামে খায়রুননেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য।
তিনি বিংশ শতাব্দীর শেষ ছয় দশকের পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রেখাচিত্র সংবলিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ মোজাইক অব মেমোরিজ এবং সিলেক্টেড প্রভার্বস এন্ড কোটেশনস গ্রন্থ রচনা করেন।