সেই পতিত জমিতে দোল খাচ্ছে আউশ ধান

মাহফুজ নান্টু।।
গরু-ছাগলের চারণভূমিতে এখন দোল খাচ্ছে আউশ ধান। এমন দৃশ্য এখন বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তবর্তী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি অফিস এখন কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। পতিত জমিতে আউশ ধান রোপনের পরিকল্পনা করেন বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায়।
ওই এলাকার অর্ধশত কৃষক আউশ ধান রোপন করেছেন। তারা এখন ধানি জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আউশ ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি- ধান ৪৮ , ব্রি ধান ৯৮ , ব্রি ধান ৮২ ,ব্রি- হাইব্রিড ধান-৭ , ব্রি ধান ৫৫।
কৃষক ওমর ফারুক বলেন, পাহাড়পুর বেলতলী এই এলাকায় আমরা আমরা বছরে দুই ফসল পেতাম। ওই দুই ফসলের মাঝে অন্তত ৬ মাস জমিগুলো পতিত থাকতো। এখন কৃষি অফিসারদের পরামর্শে আমরা বছরে চারটি ফসল পাই।
কৃষক মনির হোসেন বলেন, আমাদের বাপ-চাচারাও এই সময়টাতে কখনো ফসল করতে দেখি নাই। কিন্তু আমি বছরের এই সময়টাতে ৩৩ শতাংশ জমিতে আউশ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
মঙ্গলবার পাহাড়পুর এলাকায় আউশ ধানের মাঠ পরিদর্শনে যান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সিএসও ও প্রধান ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার, ব্রি কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম সালাউদ্দিন ও মোছা. তানজিয়াতুল হুসনা।
কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, কিভাবে ফসলি ও পতিত জমিগুলোতে আরো বেশি ফসল উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যই সীমান্তবর্তী পাহাড়পুরের এই এলাকার জমিগুলো পরিদর্শন করি। কৃষকদেরদের উদ্বুদ্ধ করতে ওই ব্লকের উপ-সহকারী সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাহেদ হোসেনকে নিয়ে কাজ শুরু করি। কৃষকরাও বেশ আগ্রহী। কৃষকদেরকে আমি শস্য বিন্যাস করে দেই। পতিত ৭০বিঘা জমিতে আগে দুই ফসল হতো। এখন চারটি ফসল পাচ্ছে কৃষকরা।