জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দৌড়ানোর স্বপ্ন তার

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
ম্যারাথন আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেছেন কুমিল্লার জসিম সিদ্দিকী। ৫২ বছর বয়সী এ দৌড়বিদ শরীরচর্চা আর সখের বসে দিনে ৭-১০ কিলো মিটার দৌড়ান। তিনি বিদায়ী বছরে ভারতের কোলকাতা ও কুচবিহারে ম্যারাথনে অংশ নিয়ে চারটি পদক লাভ করেছেন।

সূত্রমতে, মুরাদনগর উপজেলার মুগশাই গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন মো. জসিম সিদ্দিকী। পারিবারিক ভাবে বাসবাস করেন আদালতপাড়ায়। দৌড়ের হাতেখড়ি স্কুল জীবন থেকে। বরুড়া তলাগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দৌড় প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিকে পড়ার সময় হয়েছেন প্রথম। দৌড়ের নেশা সেখান থেকে।


দৌড়বিদ হিসাবে যোগ দিয়েছেন নৌ বাহিনীতে। সেখানে মন বসেনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন) বিজেএমসিতে দৌড়বিদ হিসাবে চাকরি করেছেন।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন বলেন, দৌড় বা হাঁটিহাঁটি আমাদের জীবনের অংশ। ম্যারাথন বিশ্বের প্রাচীনতম একটি খেলা। ম্যারাথনে আমরা তেমন পৃষ্ঠপোষকতা পাইনি। একারণে অন্য দেশের তুলনায় ম্যারাথনে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে জসিমের মতো ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে এগিয়ে যায়। তাদেরকে সরকারি ভাবে তদারকি করলে বিশ্ব সেরা হওয়া সম্ভব।

 

দৌড়বিদ মো. জসিম সিদ্দিকী বলেন, আমি শখ থেকে দৌড়াই। প্রতিদিন গড়ে ৭-১০ কিলো মিটার দৌড়ানো হয়। মোবাইল ফোনের অ্যাপে সময় আর দৌরের দূরত্ব জানতে পারি। জাতীয় ভাবে অংশ নিয়ে চতুর্থ হয়েছি।

 

আমার জীবনে বড় অর্জন কোলকাতা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার গেম -২০২৩ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এছাড়াও কুচবিহারে ৫ কিলো মিটার, ১০ কিলো মিটার, ৫ কিলো মিটার, ১৫শ মিটার দৌড়েও এইচ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গতবছর বিমান বাংলাদেশের আয়োজনে ১০ কিলো মিটারের দৌড়ে প্রথম রানার আপ পুরষ্কার গ্রহণ করেছি।


ছয়বার বিভাগীয় খেলায় অংশ নিয়ে চারবার পুরষ্কার পেয়েছি। জেলা পর্যায়ে অনেক পুরষ্কার পেয়েছি। বিজেএমসিতে আমার অনেক অর্জন, অনেক স্মৃতি আছে। সেখানে তিন হাজার টাকা বেতনে ম্যারাথন পদে সাত বছর চাকরি করেছি। সুস্থ থাকার জন্য দৌড়ের বিকল্প নেই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দৌড়াতে চাই।