ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি আড়াই মাসেও

 

কল্লা শহীদ মাজার এলাকা

 

মো. ফজলে রাব্বি, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শাহ পীর কল্লা শহীদ (র.) মাজারের ওরশের সময় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও আলোর মুখ দেখেনি। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আড়াই মাসেও ওই প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। কবে নাগাদ জমা দিবে এ ব্যপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। কার গাফিলতিতে এত বড় মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও চিহ্নিত হয়নি।

চলতি বছরের ১০ আগস্ট আখাউড়ার খড়মপুর শাহ পীর কল্লা শহীদ (র.) মাজারের ৭ দিন ব্যাপী ওরশের প্রথম দিন সন্ধ্যায় মাজারের পশ্চিমে রেলপথে সিলেট থেকে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের থাক্কায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পর দিন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে প্রধান করে ৪ সদস্যের  তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এই ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন, নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্র শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি ভূইয়া (৫৫)। অপর ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আরও ৮/১০ জন আহত হয়।

অপর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য মুঠোফোনে বলেন, ওরশের সময় মাজার এলাকায় প্রচুর লোকজন ছিল। মাজার এলাকায় রেললাইনের পাশে নদীতে নৌকায় উচ্চ শব্দে মাইক-সাউন্ড সিস্টেম বাজছিল। এজন্য লোকজন ট্রেনের হুইসেল শুনতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে । তিনি আরও বলেন, এত বড় একটি অনুষ্ঠানে মাজার পরিচালনা কমিটি আরও সাবধানতার দরকার ছিল। তদন্ত রিপোর্টে আমরা সুপারিশ করবো ভবিষ্যতে এ ধরনের বড় কোন অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন, রেল কর্তৃপক্ষ এবং মাজার কমিটি যেন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষ হয়েছে। স্বাক্ষরের জন্য তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের স্বাক্ষর হলেই জমা দিয়ে দিব।