ট্রেন দেখেই সেতু থেকে ঝাপ, বীমা কর্মকর্তা নিহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পায়ে হেঁটে পার হচ্ছিলেন রেল সেতু। আচমকাই দেখেন পেছন দিক থেকে ট্রেন ধেয়ে আসছে। ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা পড়া থেকে বাঁচতে রেল সেতু থেকেই দিলেন ঝাপ। এতে দুই পা ভেঙ্গে যাওয়াসহ মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই হন নিহত বীমা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন দুলাল।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-সিলেট-চট্রগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এণ্ডারসন খাল (কুরুলিয়া নদী) রেল সেতু এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিকতা। নিহত বেলায়েত হোসেন দুলাল (৩৫) শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র। তিনি পপুলার লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্ভিস সেল ইনচার্জ ছিলেন ও জেলা শহরের সরকারপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। 
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এবং পুলিশ জানায়, বেলায়েত হোসেন দুলাল পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে জেলা শহরের দিকে আসছিলেন। বুধবার দুপুর পৌণে একটার দিকে ভাদুঘর থেকে রেলপথে যেতে কুরুলিয়া নদীর উপরকার রেল সেতু পাড় হচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময়েই তার পেছন দিক থেকে আসছিলো ঢাকাগামী একটি ট্রেন। আচমকা ট্রেনের শব্দে পেছনে তাকিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পড়ে দুলাল। ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে প্রাণপাত হবার ভয়ে তিনি সেতুর মাঝের পিলার বরাবর ঝাপ দেন। নিচে পড়ে তার দুই পা ভেঙে যাওয়াসহ মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন বীমা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন দুলাল। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে আখাউড়া রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) সাকিউল আযম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’